সুতপা সরকার, মধ্যমগ্রাম : দলের পুরনো নেতা-কর্মীদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়ার পাশাপাশি বসে যাওয়া কর্মীদের সক্রিয় করতে তৎপর হলেন মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ। মঙ্গলবার এক বৈঠকে বিধায়কের কাছে তাঁদের ক্ষোভের কথা ব্যক্ত করেন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
উত্তর ২৪ পরগনায় লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে তৃণমূলের সবচেয়ে নিরাপদ আসনের একটি হল মধ্যমগ্রাম বিধানসভা। মঙ্গলবার মধ্যমগ্রাম পৌর এলাকার মাইকেল নগরে ২০ জন নেতাকর্মীর সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করেন মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা পুরসভার চেয়ারম্যান রথীন ঘোষ।
সেই বৈঠকে কয়েকজন কর্মী ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, দলের কাজে তাঁরা যথেষ্ট সক্রিয় হলেও, তাঁদের নিষ্ক্রিয় বলে দেগে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কর্মীদের কেউ কেউ ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের ব্যবহার নিয়েও বিধায়কের কাছে নালিশ জানান। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় শিব মন্দির তৈরি নিয়ে কাউন্সিলর পুরনো কর্মীদের কোণঠাসা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
আবার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের এক কর্মী অভিযোগ করেন, ১৯৯৮ সাল থেকে তাঁরা দল করছেন। গত বিধানসভার ভোটের পর গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে তাঁদের মারধরও করা হয়েছে। ওই ওয়ার্ডে তৃণমূল এখন পিছিয়ে পড়েছে। কিন্তু এত দিন কেউ তাঁদের কথা শোনেনি বলে ওই কর্মী অভিযোগ করেন।
১৫ নম্বর ওয়ার্ডের এক কর্মীর অভিযোগ , ‘সিপিএম থেকে আসা কর্মীরা দলে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন।
এরাই আখের গোচাচ্ছেন।আর দলের কেউ সেই কাজে বাধা দিচ্ছে না। বরং তাদের মত পুরানো বিশ্বস্ত কর্মীদের দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে।’
সবমিলিয়ে ঘন্টা খানেকের এই সভায় সবার বক্তব্য শোনার পর বিধায়ক বলেন, এই বিষয়গুলি কেন আগে তাঁকে জানানো হয়নি।
সভা শুরুর আগে বিধায়ক সবাইকে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান জানান।