শহিদ মিনারের সভার পরই কালীঘাটে গেলেন অমিত শাহ। এদিন কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহের সফর ঘিরে কালীঘাটে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। এদিন সভার শুরুতে শাহ বলেন, ‘‘কালী মায়ের এই মহান মাটিকে আমার প্রণাম জানাই’’।
শহিদ মিনারের সভার শুরুতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন অমিত শাহ। এদিন সভার শুরুতে ‘ভারত মাতা কী জয়’ স্লোগান দিতে গিয়ে শাহ বলেন, ‘‘এভাবে আওয়াজ দিলে হবে! এভাবে আওয়াজ দিলে মমতাদিদির সরকার কি বিদায় নেবে?আরও জোরে আওয়াজ দিতে হবে। লক্ষ লক্ষ মানুষকে নাগরিকত্বের উপহার দিয়েছেন মোদী। সিএএ বিরোধীদের কানে যাতে পৌঁছোয়, তেমন আওয়াজ করুন’’। এরপরই শাহ বলেন, ‘‘মমতাদি বিজেপিকে বলতেন, জামানত সামলে রাখুন, আপনাকে বলছি, বিধানসভা নির্বাচনে এবার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলায় বিজেপি সরকার গড়বে। কোনও রাজপুত্র নয়, বাংলার ভূমিপুত্রের হাতেই শাসনভার থাকবে’’।
অন্যদিকে, অমিত শাহকে কালী মা’র ছবি উপহার দিল বঙ্গ বিজেপি বাহিনী। কালী মায়ের ছবি শাহের হাতে তুলে দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিকে, অমিত শাহকে ঘিরে কলকাতায় তুমুল উত্তেজনা। ধর্মতলায় গ্র্যান্ড হোটেলের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি। অমিত শাহের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন আন্দোলনকারীদের। পুলিশ ব্যারিকেড সরিয়ে এগোতে গেলেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি বেধে যায়।এর আগে, বিমানবন্দরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখায় বামেরা। ‘অমিত শাহ গো ব্যাক’ স্লোগানে মুখরিত কলকাতা শহর। পার্ক সার্কাস, কৈখালি মোড়, শ্যামবাজার, গড়িয়াহাট, সন্তোষপুরে অমিত শাহের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন বাম-কংগ্রেসের।
অমিত শাহের কলকাতা সফর প্রসঙ্গে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘বাংলার মানুষ সিএএ-এনআরসি করতে দেবে না। কে এল আর গেল, ভাবছি না। অমিত শাহের সফরে আমরা চিন্তিত নই’’।