হোমদেশহোম আইসোলেশনের মেয়াদ কমে ৭ দিন, নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের

হোম আইসোলেশনের মেয়াদ কমে ৭ দিন, নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের

হোম আইসোলেশনের মেয়াদ কমে ৭ দিন, নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের

মৃদু উপসর্গযুক্ত বা উপসর্গহীন কোভিড পজিটিভ রোগীদের জন্য একগুচ্ছ নয়া গাইডলাইন জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, বাড়িতে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীরা ৭ দিন পর শর্তসাপেক্ষে হোম আইসোলেশন বা নিভৃতবাস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারবেন।

বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, আক্রান্ত রোগীর যদি পর পর ৩ দিন জ্বর না আসে, তবে রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার সাত দিন পর তাঁকে আর নিভৃতবাসে থাকতে হবে না।

আগে নিয়ম ছিল, নিভৃতবাস ছাড়তে হলে, রোগীর কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট অবশ্যই নেগেটিভ হতে হবে। কিন্তু কেন্দ্র জানিয়েছে, এখন থেকে আর ওই নেগেটিভ রিপোর্টের প্রয়োজন নেই। তবে নিভৃতবাস ছাড়লেও, রোগীকে সব সময় মাস্ক পরে থাকতে হবে। তবে নতুন এই নিয়ম শুধুমাত্র বাড়িতে চিকিৎসাধীন মৃদু উপসর্গযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

নয়া নির্দেশিকায় কেন্দ্র জানিয়েছে,
১) কোনও পরিবারে কেউ কোভিড আক্রান্ত হলে, তাঁকে নির্দিষ্ট ঘরে আলাদা থাকতে হবে। বিশেষত হার্ট, কিডনি সহ কো-মর্বিডিটি রয়েছে, পরিবারের এমন সদস্যদের থেকে তাঁকে দূরে থাকতে হবে।

২) রোগীকে যে ঘরে রাখা হবে, সেখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। খোলা রাখতে হবে জানালা।

৩) রোগীকে সবসময় ত্রিস্তরীয় মাস্ক পরতে হবে। ৮ ঘণ্টা পরপর মাস্ক বদলে ফেলতে হবে। অন্য কেউ রোগীর ঘরে ঢুকলে, এন ৯৫ মাস্ক পরতে হবে।

৪) ব্যবহৃত মাস্ক ফেলার আগে সেটিকে দু’টুকরো করে কোনও একটি আবর্জনার ব্যাগে কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা রাখতে হবে।

৫) রোগীকে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান বা ফলের রস বা অন্য স্যুপ, চা জাতীয় পানীয় দিতে হবে।

৬) অন্তত ৪০ সেকেন্ড ধরে সাবান বা অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৭) কোভিড আক্রান্তের ব্যবহৃত বাসন অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবেন না।

৮) আক্রান্ত রোগীর ঘর নিয়মিত সাবান জল বা জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

৯) নির্দিষ্ট সময় অন্তর রোগীর দেহের তাপমাত্রা মাপতে হবে। ৩ দিনের বেশি ১০০ ডিগ্রি তাপমাত্রার জ্বর থাকলে, রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ ৯৩ শতাংশের কম হয়ে গেলে, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি কিংবা মানসিক সমস্যা দেখা দিলে, দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

১০) পালস অক্সিমিটার দিয়ে নিয়মিত রোগীর রক্তের অক্সিজেনের মাত্রা মাপতে হবে।

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img