হোমPlot1নারী দিবসের প্রাক্কালে 'চার কন্যা'কে সম্মানিত করল পিআইবি

নারী দিবসের প্রাক্কালে ‘চার কন্যা’কে সম্মানিত করল পিআইবি

নারী দিবসের প্রাক্কালে ‘চার কন্যা’কে সম্মানিত করল পিআইবি

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে ৪ কন্যাকে সম্মানিত করল ভারত সরকারের সংস্থা প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো। এঁরা হলেন, জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর ড. ধৃতি ব্যানার্জি, নাইসেডের ডিরেক্টর ডাঃ শান্তা দত্ত, FAITH (Foundation for Actions and Innovative Towards Health Promotion)-এর চেয়ারপার্সন ডাঃ মধুমিতা দোবে এবং ইংলিশ চ্যানেল জয়ী সাঁতারু তহরিনা নাসরিন।

জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ১০৭ বছরের ইতিহাসে ধৃতিই প্রথম মহিলা ডিরেক্টর। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ধৃতি বলেন, বর্তমান আর্থিক-সামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রত্যেক নারীরই জীবনে এক এক ধরনের লড়াই রয়েছে। গবেষণামূলক কাজে কৃতিত্বের জন্য ইতিমধ্যে বহু আন্তর্জাতিক খেতাব পেয়েছেন ধৃতি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ২০১৮তে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হগ-এ পাওয়া “Exceptional Woman of Excellence” খেতাব। গত বছর বণিকসভা ভারত চেম্বার অফ কমার্স তাঁকে “The Outstanding Woman Achievers” খেতাব দিয়ে সম্মানিত করেছে। তিনি ২১টির মতো বই লিখেছেন এবং তাঁর ২১২টি গবেষণামূলক প্রবন্ধ রয়েছে, যা দেশবিদেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

FAITH-এর চেয়ারপার্সন হলেও, এর আগে হেলথ প্রমোশন অ্যান্ড এডুকেশন দপ্তরের ডিন এবং ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেছেন মধুমিতা। শিশু চিকিৎসক হিসেবে মধুমিতার বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। বর্তমানে জনস্বাস্থ্যের ওপর তিনি কাজ করে চলেছেন। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিশ্বকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রত্যেক নারীরই
বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। বৃহত্তর জীবনে সাফল্যের পিছনে বাবা-মায়ের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

ডাঃ শান্তা দত্ত সন্তান লালনপালন থেকে শুরু করে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর নানা ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।করোনার সময়ে গোটা রাজ্যে যখন আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তখন শান্তাদেবীর নেতৃত্বে নাইসেডের কাজ বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। আড়াইশোর বেশি গবেষণামূলক নিবন্ধ লিখেছেন তিনি। পেয়েছেন একাধিক খেতাব। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২১-এ তাঁকে “Scotch Award of Gold” পুরস্কার প্রদান করা হয়।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে সাঁতারে বহু উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বের পরিচয় দিয়ে দেশের গৌরব বাড়িয়েছেন তহরিনা নাসরিন। ২০১২তে ইংলিশ চ্যানেল জয় ছাড়াও তিনি গত বছর জিব্রাল্টার প্রণালীও অতিক্রম করেছেন। সাঁতারের পাশাপাশি সমানতালে পড়াশোনাও চালিয়ে গেছেন। অর্জন করেছেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও। অতি সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা তহমিনা শোনালেন তাঁর ব্যতিক্রমী লড়াইয়ের কথা। বললেন, তাঁর এই লড়াইয়ে মা-বাবাকে পাশে পেলেও, পেরোতে হয়েছে অনেক সামাজিক বাধা।

কলকাতা প্রেস ক্লাবে সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে পিআইবি-র অতিরিক্ত মহানির্দেশক জে নামচু বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এই চার নারীকে কুর্নিশ জানান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন পিআইবি কর্তা তথা আকাশবাণীর বাংলা সংবাদ বিভাগের যুগ্ম অধিকর্তা পার্থ ঘোষ।

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img