বাংলার বুকেই বাংলা ভাষা তথা বাঙালির সংস্কৃতি, বাঙালির ঐতিহ্যকে অবহেলা। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ উঠেছে বারেবারে। অভিযোগ উঠেছে, পশ্চিমবঙ্গে বাংলাকে দমিয়ে হিন্দি ভাষার আগ্রাসন নিয়েও। এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিক্ষিপ্ত আন্দোলন হলেও, কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
বাঙালির অধিকার রক্ষা এবং স্বতন্ত্রতা বজায় রাখার অঙ্গীকার নিয়ে শনিবার আত্মপ্রকাশ করল নতুন সংগঠন ‘বঙ্গযোদ্ধা’। গত ৩ বছর ধরে বাঙালি জাতির ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে নানাভাবে কাজ করে এলেও, এই প্রথম নব কলেবরে পথ চলা শুরু হল বঙ্গযোদ্ধার।
আজ কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক তথা এই সংগঠনের কাণ্ডারী অরিন্দম বিশ্বাস। এছাড়া ছিলেন অরুণ কুমার সেন, গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিজিৎ কুণ্ডু, ইমতিয়াজ আহমেদ সহ এই সংগঠনের বিভিন্ন পদাধিকারীরা।
সাংবাদিক বৈঠকে পেশ করা এক দাবি সনদে বলা হয়েছে, “পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি তথা ভূমিসন্তানদের ওপর জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চক্রান্তের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন সংগঠিত করবে বঙ্গযোদ্ধা। এছাড়া, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী, প্রাপ্য অধিকার থেকে বাঙালিকে বঞ্চিত করার বিরুদ্ধেও বঙ্গযোদ্ধা পথে নামবে।”
বাঙালির অধিকার রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মঞ্চে লড়াই চালিয়ে আসছেন চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস। তিনি বলেন, “অবাঙালিদের প্রতি আমাদের কোনও বৈরিতা নেই। কোনও ভাষাকেও ঘৃণা করছি না। নানাভাবে চাপ তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু জোর করে কিছু চাপানো হলে, প্রতিবাদ, প্রতিরোধ তীব্র হবে।”
বাংলাভাগের কোনও চেষ্টা হলে, তাঁর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন অরিন্দমবাবু। সেইসঙ্গে সংগঠনের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের বোঝাপড়ার সম্ভাবনা বাতিল করে তিনি বলেন, “আমরা ভোটেও লড়ব না। কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজও করব না। আমরা বাঙালির জন্য কাজ করব। সবসময় বাঙালির পাশে থাকব।”
ভিড়ে ঠাসা সাংবাদিক বৈঠকে চোখে পড়েছে তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের ভিড়।