শুধুমাত্র ছাত্রছাত্রীদের প্রায় নিখরচায় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে স্টুডেন্টস হেলথ হোমের পথ চলা শুরু হয়েছিল। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবার সাধারণ মানুষের মধ্যেও চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছে ৭০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠান। সাধারণ মানুষের জন্যে চালু করা হয়েছে ৫০ বেডের ন্যায্য মূল্যের হাসপাতাল। কলকাতার মৌলালিতে এই হাসপাতালে ইতিমধ্যে আউটডোর চালু করা হয়েছে। আগামী ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে চালু হতে চলেছে ইন্ডোর পরিষেবাও।
বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠকে স্টুডেন্টস হেলথ হোমের সভাপতি গৌতম মুখোপাধ্যায় এবং সম্পাদক পবিত্র গোস্বামী জানান, “সাধারণ মানুষ যাতে কম খরচে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে পারেন, সেদিকে লক্ষ্য রেখে এই প্রতিষ্ঠানকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় মানুষ যাতে অনেক কম খরচে চিকিৎসার সুযোগ পেতে পারেন, সেজন্য আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।”
তাঁরা বলেন, “স্কুলের মাধ্যমে মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে ছাত্রছাত্রীদের সদস্য দেওয়া হয়। পড়ুয়াদের চিকিৎসার জন্য আলাদা কোনও খরচ নেই। অন্যদিকে, রাজ্যবাসী আউটডোরে কম খরচে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করাতে পারেন।”
গৌতমবাবু এবং পবিত্রবাবু, দুজনেই অভিযোগ করেন, “২০১২ সালে সরকার অনুদান বন্ধ করে দেওয়ায় এই হোম সঙ্কটের মুখে পড়ে। সেইসঙ্গে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতিগুলি ভেঙে দেওয়ায় হোমের সদস্য সংগ্রহের কাজও ব্যাহত হয়। এই পরিস্থিতিতে আমরা আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে সংস্থার পক্ষ থেকে ধর্মতলা থেকে মৌলালির রামলীলা ময়দান পর্যন্ত এক পদযাত্রারও ডাক দেওয়া হয়েছে। ‘সকলের স্বাস্থ্যের দাবি’তে প্রতি বছরই পদযাত্রার আয়োজন করে থাকে স্টুডেন্টস হেলথ হোম। কিন্তু করোনার কারণে গত ২ বছর তা করা সম্ভব হয়নি। রাজ্যের ৩২টি আঞ্চলিক কেন্দ্রেও এই পদযাত্রা হতে চলেছে।
ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের মধ্যে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সচেতনতামূলক প্রচারের পাশাপাশি এই পদযাত্রার মাধ্যমে হোমের কর্মকাণ্ডও মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।