পশ্চিম ইউরোপের ছোট্ট দেশ লুক্সেমবার্গ। আর সেখানকার রাজধানী লুক্সেমবার্গ শহরের মানুষকে এখন গ্রাস করেছে দুর্গোৎসবের উন্মাদনা।
২০১৯ সালে এখানে দুর্গোৎসবের সূচনা হয়েছিল। এ বছর এই পুজো পঞ্চম বছরে পা দিয়েছে। পুজোর আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে ৩০ থেকে ৪০টি পরিবার। শুধু বাংলা ভাষাভাষীরা নন, এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন অবাঙালিরাও।
খোলা জায়গায় কোনও মণ্ডপ নয়, এখানকার নিয়ম মেনে স্থানীয় একটি হল-এ পুজোর আয়োজন করা হয়। পরিবেশ-বান্ধব সামগ্রী দিয়ে মণ্ডপ সাজানো হচ্ছে। সেইসঙ্গে উৎসব প্রাঙ্গনে থাকছে চন্দ্রযান ৩-এর ছোঁয়া। এ নিয়ে একটি প্রদর্শনীরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ বছর পুজো কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন তাপস রাজদেকর, আর সম্পাদক হয়েছেন তথাগত ব্যানার্জি। পুজোর কমিউকেশন কমিটির সদস্যা নিমকী গুপ্তা টেলিফোনে জানালেন, বাংলা থেকে বহু দূরে হলেও, উৎসবের আতিশয্যের দিক থেকে কলকাতা থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই এই পুজো।
কোভিডের সময়েও পুজোর আয়োজনে কোনও ত্রুটি রাখা হয়নি। আর গত বছর পুজো হয়েছে বেশ ধুমধাম করেই, বললেন নিমকী। তিনি জালালেন, সপ্তমীতে কলা বউ স্নান, অষ্টমীতে খিচুড়ি ভোগ, সন্ধি পুজো, বিজয়ার সিঁদুর খেলা সব কিছুই এখানে পালন করা হয় যথাযথ নিয়মবিধি মেনে।
অষ্টমীর ভোগে থাকে খিচুড়ি। কখনও কখনও লাবড়াও থাকে। থাকছে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাও। পুজোর কয়েকদিন পর বিজয়া মিলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে সবার জন্য খাবারের ব্যবস্থাও থাকে।
৬ লক্ষ ৬০ লক্ষ জনসংখ্যার দেশ লুক্সেমবার্গে ভারতীয় রয়েছেন প্রায় ৪৭০০ জন। এর মধ্যে বাঙালির সংখ্যা প্রায় ১৩০০।
প্রতিদিন পুজো দেখতে ভিড় করেন প্রায় সাড়ে ৩০০ জন। শুধু স্থানীয়রাই নন, প্রতিবেশী দেশ বেলজিয়াম, ফ্রান্স এবং জার্মানির মানুষও এখানে পুজো দেখতে আসেন।