হোমPlot1বহু সাধনার ধারাকে একসূত্রে বেঁধেছিলেন নেতাজি

বহু সাধনার ধারাকে একসূত্রে বেঁধেছিলেন নেতাজি

বহু সাধনার ধারাকে একসূত্রে বেঁধেছিলেন নেতাজি

কল্যাণ চক্রবর্তী: স্বরাজ সাধনার ধারাকে বাস্তবতার পথে প্রবাহিত করেছেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। বঙ্কিমচন্দ্র, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ও অরবিন্দের চেতনায় স্বরাজের ভিন্নতর ধারা প্রবাহিত ছিল। এই প্রবাহগুলিকে সমন্বয় করে বাস্তবের মাটিতে নামিয়ে স্বরাজ্য ভাবনার উপস্থাপক এবং মহারথী হলেন সুভাষ। বঙ্কিম-মানসে ছিল অখন্ড-জাতির ভাবনা আর অসুর বিনাশের যজ্ঞ: সাহিত্য-স্বরাজ। স্বামী বিবেকানন্দে প্রতিভাত হল ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক ও সামাজিক স্বরাজ। রবীন্দ্রনাথের কাব্য সাধনার ধারার মধ্যে মুক্তি পেল ভারতবর্ষের অখণ্ড চেতনার রূপ-রস-গন্ধ।

শ্রীঅরবিন্দ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের সুরে ভারতবীণায় বেঁধে দিলেন রাজনৈতিক স্বরাজবোধ। এই সব পথের অমোচ্য সঙ্গীতে শুরু হল স্বাধীন ভারতবর্ষ গঠনের জন্য যুদ্ধ; সুভাষ তার মহাধিনায়ক। বিশ্বের সব ঘটনাকে বাস্তবতার লাশকাটা ঘরে কাটাছেঁড়া করে, তিনি শত্রু-মিত্র জটিলতাকে সহজ সরল রূপ দিলেন, দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধ যার অন্যতম চালিকাশক্তি।

দেশবিরোধী শক্তি তাঁকে নানান গালমন্দে ভূষিত করল; খসে পড়ল নানান ব্যক্তিত্বের রাজনৈতিক মুখোশ। কিন্তু নেতাজি অনন্য; আত্মত্যাগ ছাড়া যে রাজনীতির লড়াইয়ে শাশ্বত জয় সম্ভব নয়, তা তিনি ভারতবাসীকে এবং ভারতের রাজনীতিবেত্তাদের বুঝিয়ে দিলেন।

ভারতের রাজনৈতিক মঞ্চে যতদিন না তাঁর সংগ্রাম, চরিত্রশক্তি, নিঃস্বার্থপরতা, মানবিকতা, প্রাণময়তা ও অভিজ্ঞতাকে আমরা মূলধন না করবো, ততদিন তাঁর আত্মার শান্তি নেই; পরগাছা থেকে মুক্তি নেই ভারতবর্ষের। আজ নেতাজির কর্মজীবন, মতাদর্শ ও দার্শনিকতার প্রজ্ঞা প্রবাহ আমাদের মধ্যে গভীর খাতে প্রবাহিত হোক, ভারতমাতার কাছে এই প্রার্থনা করি।
ছবি: শীর্ষ আচার্য

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img