দেবাশিস পাল, মালদহ : ঢিল ছোড়া দূরত্বে বিডিও অফিস। তবুও কলকাতা থেকে গাড়িতে ৪০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে ত্রাণ পৌঁছে দিতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। এমনই অভিযোগ করেছেন এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা। হরিশ্চন্দ্রপুরের খন্তা তিওর পাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় অনেকে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন মানুষ। সংবাদমাধ্যমে গ্রামবাসীদের এই দুরবস্থার কথা জানতে পেরে কলকাতা থেকে ত্রাণ নিয়ে এসেছিল পশ্চিমবঙ্গ জ্যোতিষ একতা মঞ্চ।
হরিশ্চন্দ্রপুরে এক ধর্মশালায় বিশ্রাম নিতে গেলে, এলাকার কিছু লোক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীদের গালাগালি এবং লাঠি নিয়ে তেড়ে যায় বলে অভিযোগ। এরপর গাড়ি ঘুরিয়ে সংস্থার কর্মীরা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দুঃস্থ মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিলি করেন।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বাপন মল্লিক বলেন, ‘করোনা নিয়ে আতঙ্কের জেরে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। তাই এ ঘটনা ঘটেছে।’ হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান, এলাকার কিছু পাড়ায় করোনা নিয়ে মানুষ অতি সক্রিয়তা দেখাচ্ছেন। বাঁশ দিয়ে পথ আটকে দেওয়া হচ্ছে। তবে বাঁশ খুলে ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইসি।
এদিকে, ত্রাণ পেয়ে খুশি হরিশ্চন্দ্রপুরের খন্তা তিওরপাড়া গ্রামের মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, কাছে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নং ব্লক অফিস থাকলেও, সেখান থেকে কোনও সরকারি সাহায্য এখনও মেলেনি।