শুভদীপ রায় চৌধুরী
আকাশে বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ। মাঠে মাঠে কাশফুলের সৌন্দর্য জানান দিচ্ছে উমা আসছে। বনেদি বাড়ির পাশাপাশি বারোয়ারি পুজোমণ্ডপেও চলছে শারদীয়ার চূড়ান্ত প্রস্তুতি। দুর্যোগের কালো মেঘকে দূরে রেখে জমিয়ে কেনাকাটা এবং শারদোৎসবের আনন্দে চেটেপুটে উপভোগ করতে প্রস্তুত শহরবাসী।
উত্তরের কাশীবোস লেন থেকে শুরু করে দক্ষিণে সুরুচির থিম কী, তা জানার কৌতূহল ঘুম কেড়েছে পুজোপ্রেমীদের। পিছিয়ে নেই অন্যান্য পুজোমণ্ডপের উদ্যোক্তারাও।
দক্ষিণ কলকাতার বারোয়ারি পুজোগুলির অন্যতম বালিগঞ্জ একুশ পল্লী। এ বছর তাদের থিম ‘শঙ্খম’। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, সমস্ত দেবতার পুজোয় শঙ্খ বাজানোর রীতি বহু প্রাচীন। পল্লীবাংলায় বাড়ির গৃহবধূরা সকাল-সন্ধ্যা পুজোর সময় শঙ্খ বাজিয়ে দেবতাদের সন্তুষ্ট করতেন। তাই মনে করা হয়, শঙ্খধ্বনি শুনে তাঁরা প্রসন্ন হন এবং ভক্তদের বর প্রদান করেন। তাই পুজোর কটা দিন শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠবে একুশ পল্লীর পুজোমণ্ডপ।
উদ্যোক্তাদের বিশ্বাস, শঙ্খধ্বনিতেই সমস্ত নেতিবাচক শক্তি ইতিবাচক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। তাই তাদের পুজোমণ্ডপে এলে দর্শনার্থীরা এক আলাদা আধ্যাত্মিক শক্তি অনুভব করতে পারবেন। এর পাশাপাশি, শিল্পী বিমান সাহার এই অসাধারণ ভাবনার সঙ্গে দেবী প্রতিমাতেও থাকছে বিশেষ চমক, এমনটাই জানান উদ্যোক্তারা।
আর কিছু দিন পর গোটা তিলোত্তমা সেজে উঠবে আলোর মালায়। আর মণ্ডপে মণ্ডপে চলবে উমার আরাধনা। তাই প্রতিবারের মতন এই বছরেও ২১ পল্লীর থিম মন জয় করবে অগণিত দর্শনার্থীর, এমনটাই আশা উদ্যোক্তাদের।