বানতলায় ম্যানহোল পরিষ্কার করতে গিয়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু রাজ্য সরকারকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। দিনের পর দিন দূষণ বেড়ে চললেও, প্রশাসনিক কর্তাদের বিন্দুমাত্র হেলদোল নেই।
বাম আমলে বানতলায় বাসন্তী হাইওয়ে-সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠেছিল এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ চর্মনগরী। এই মুহূর্তে চর্মনগরীতে ছোট-বড় মিলিয়ে ৬০০টি চামড়ার কারখানা রয়েছে। লক্ষাধিক শ্রমিক এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ছাড়াও ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, জাপান, জার্মানি-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হয় এখানকান চর্মজাত সামগ্রী।
বানতলা লেদার কমপ্লেক্সের তিনটি বর্জ্য পরিশোধনাগার দীর্ঘ দিন অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। কোনও ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট-ই আন্তর্জাতিক মানের নয়। তাই এর লাগোয়া জলাজমিতে ব্যাপক দূষণ ছড়াচ্ছে এবং তা আশেপাশে অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ছে।
বেদেরআটি, গঙ্গাপুর, ঊষপাড়া, সোনাটিকারি, কড়াইডাঙা, মৌশল, কাকুরিয়া, মাকালতলার মতো গ্রামগুলিতে দূষিত জল ঢুকে পড়ছে বলে অভিযোগ।
দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ। বিশিষ্ট এই পরিবেশবিদ বলেন, “এটা পরিবেশগত অপরাধ। এই দূষণের ফলে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা ভুগছেন। দূষণ কী পর্যায়ে পৌঁছেছে, তা সম্প্রতি নিকাশি নালা সাফাই করতে গিয়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।”