তিনি দেবতা, শ্রীমন্দিরে থাকেন। শুধু তিনিই নন, দাদা আর ছোট বোনও থাকেন একই সঙ্গে। রাতে শোয়ার আগে চন্দন, অগরু, কস্তুরী মেশানো বডি লোশনও মাখেন। বেশ বিলাসী আয়োজন।
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই মানুষের মতোই দাঁত ব্রাশ, মুখ ধোয়ার পর্ব মিটতেই হাতে পাঁজি সেবায়েতরা হাজির দৈনিক রাশিফল, দশা ফল শোনাতে। এমনকী গ্রহ দোষ কাটানোর উপায় শোনেন দেবতারা। ঠিক মানুষেরই মতই!
চিনতে পারছেন এই দেবতাত্রয়ীকে? একাসনে দাদা-বোনকে নিয়ে জগতের নাথ, জগন্নাথ ছাড়া আর কে-ই বা বসতে পারেন? তিনি তো মিলেজুলে থাকতেই ভালোবাসেন। তিনি তো সর্ব ধর্মের সমন্বয়! সব পথ এসে মিলে গেছে শেষে, তোমারই দু’খানি নয়নে।
তাঁর চলন ফেরন সব কিছুতেই মিলেমিশে আছে মানুষ আর না-মানুষের সহস্র বছরের অভিযাত্রা।
‘অথ জগন্নাথ কথা’-র পাতায় পাতায়, পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে, জড়িয়ে আছে এমন অনেক উপাখ্যান, অনেক কাহিনী। জগন্নাথের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সুদর্শন চক্র দেখেছেন নিশ্চয়ই? শ্রীবিষ্ণুর হাতের ঘূর্ণায়মান সুদর্শন চক্রের এমন রূপ কী করে হল?
শ্রীসুদর্শন চক্রের যে বিষ্ণুর নির্দেশ মেনে দুষ্টের মানসিক পরিবর্তনের জন্য মর্তে অবতার রূপে এসেছিলেন, সে খবর আমরা ক’জন জানি? কী তাঁর ধর্ম মত? কারা, কোন সম্প্রদায় আজও বয়ে চলেছেন সেই ধর্মের ধারা?
এমন অনেক অজানা তথ্য আর গল্প-সত্য-কথা ও কাহিনী সমৃদ্ধ এই বই ‘অথ জগন্নাথ কথা’ বাংলা ভাষায় জগন্নাথ-সংস্কৃতি চর্চার আকর গ্রন্থ।