হোমখেলাবঙ্গকন্যার হাত ধরে বেঙ্গালুরুতে ফুটবল উন্মাদনা, সাক্ষী ফ্রান্সের তারকা খেলোয়াড়রা

বঙ্গকন্যার হাত ধরে বেঙ্গালুরুতে ফুটবল উন্মাদনা, সাক্ষী ফ্রান্সের তারকা খেলোয়াড়রা

বঙ্গকন্যার হাত ধরে বেঙ্গালুরুতে ফুটবল উন্মাদনা, সাক্ষী ফ্রান্সের তারকা খেলোয়াড়রা

৩ দিনের (৩১ মার্চ-৩ এপ্রিল) ফুটবল টুর্নামেন্টকে ঘিরে রীতিমতো উৎসবে মেতে উঠলেন তথ্য-প্রযুক্তি নগরী বেঙ্গালুরুর সরজাপুরা এলাকার মানুষ। প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল ৩২টি দল। ওপেন টু অল বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সমাজের পিছিয়ে থাকা পরিবারের সন্তানদের নিয়ে তৈরি টিম LDSSA. এই গ্রুপে রানার্স হয়েছে XVFC.

LDSSA দলের অনেকে কর্নাটকের সন্তোষট্রফি দলেও জায়গা করে নিয়েছে। এই টুর্নামেন্টের কাণ্ডারী তথা বেঙ্গালুরু স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান পায়েল সেনগুপ্ত জানালেন, এই দলটির খেলোয়াড় এবং কোচ দিনাকরনকে তাঁরা নানাভাবে সাহায্য করে থাকেন।

৩৫ ঊর্ধ্ব বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে CD Tenerife এবং রানার্স হয়েছে PCS Express. সবকটি খেলাই হয়েছে লিগ-কাম-নক আউট পদ্ধতিতে।

এক একটি দলে ছিলেন ৫ জন করে খেলোয়াড়। বিজয়ী দল পেয়েছে নগদ ১৮ হাজার টাকা পুরস্কার। এছাড়া সর্বোচ্চ গোলদাতা, সেরা খেলোয়াড়, সেরা গোলরক্ষককে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

টুর্নামেন্টে হাজির ছিলেন বিশ্বকাপের রানার্স আপ ফ্রান্স দলের বেশ কয়েকজন সদস্য।

পায়েল জানান, প্রতিযোগিতা থেকে সংগৃহীত অর্থ এইচআইভি আক্রান্ত শিশুদের শিক্ষা, চিকিৎসা এবং অন্যান্য সামাজিক কাজে খরচ করা হবে। দীর্ঘদিন বেঙ্গালুরুতে থাকলেও, পায়েল উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা।

বেঙ্গালুরু স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এই টুর্নামেন্টের এবার ছিল সপ্তম বর্ষ। ২০১৬-র ২ মার্চ চার বঙ্গসন্তানের হাত ধরে পথ চলা শুরু হয়েছিল বেঙ্গালুরু স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনের। পায়েল ছাড়াও আর যাঁরা উদ্যোগে ছিলেন, তাঁরা হলেন কিঞ্জল রায়, আর্যনীল দত্ত এবং দেবমাল্য ভট্টাচার্য।

নামের সঙ্গে স্পোর্টস শব্দটি যুক্ত থাকলেও, বেঙ্গালুরু স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশন আদতে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। শুধুমাত্র খেলাধুলার মধ্যে এর কাজকর্ম সীমাবদ্ধ নেই, বেঙ্গালুরুর বুকে বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে এই সংস্থা।

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img