হোমPlot1হাসপাতালগুলিতে বসছে 'প্যানিক বাটন', ১০ দফা নির্দেশিকা জারি নবান্নের

হাসপাতালগুলিতে বসছে ‘প্যানিক বাটন’, ১০ দফা নির্দেশিকা জারি নবান্নের

হাসপাতালগুলিতে বসছে ‘প্যানিক বাটন’, ১০ দফা নির্দেশিকা জারি নবান্নের

একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ জারি করে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে চিঠি পাঠালেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। এর মধ্যে রয়েছে, হাসপাতালগুলির চিকিৎসা পরিকাঠামো এবং চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়। নির্দেশে বলা হয়েছে,  চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বসানো ‘প্যানিক বাটন’ বসাতে হবে।

অভ্যন্তরীণ অভিযোগগ্রহণ কমিটি (ইন্টারনাল কমপ্লেন্টস্‌ কমিটি) এবং অন্য কমিটিগুলিকে পুরোপুরি সক্রিয় করতে হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করতে বলা হয়েছে। প্রতিটি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই হেল্পলাইন নম্বর দ্রুত চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্যসচিবকে লেখা ওই চিঠিতে মুখ্যসচিব লিখেছেন, হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী তথা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন রাখতে হবে। বিশেষ করে মহিলা পুলিশকর্মীর সংখ্যা যাতে পর্যাপ্ত থাকে, সে দিকে জোর দিতে বলা হয়েছে।

রাতে প্রতিটি হাসপাতালে স্থানীয় থানার পুলিশের টহলদারি দলও রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে স্বাস্থ্য দফতরকে এই বিষয়গুলি নিয়ে স্বরাষ্ট্র দফতরের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বলা হয়েছে। প্রতিটি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে সিকিউরিটি অডিটও করা হবে। এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস তথা প্রাক্তন ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে।

পাশাপাশি, প্রতিটি হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তারদের জন্য পৃথক বিশ্রামঘর ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা হবে। হাসপাতালে পানীয় জলের বন্দোবস্ত যাতে ঠিকঠাক থাকে, সে দিকেও নজর রাখতে হবে।

সরকারি হাসপাতালগুলিতে কতগুলি শয্যা ফাঁকা রয়েছে, সেই সংক্রান্ত প্রতি মুহূর্তের তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে রাখার বন্দোবস্ত করতে হবে। সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য প্রতিটি হাসপাতালে এই সংক্রান্ত একটি ডিসপ্লে বোর্ড রাখতে হবে।

কোনও রোগীকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করার ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয়ভাবে একটি ‘রেফারেল সিস্টেম’ দ্রুত চালু করার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ডাক্তার, নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের শূন্যপদ দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। রোগী ও তাঁদের পরিজনদের অভিযোগ জানানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থা করতেও বলা হয়েছে ওই চিঠিতে।

৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে ওই মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর পর হাসপাতালে নিরাপত্তাজনিত বিষয়ে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্য সরকার। হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা-সহ পুরুষ এবং মহিলা চিকিৎসকদের জন্য পৃথক বিশ্রাম কক্ষ, শৌচাগার নির্মাণ ইত্যাদির কাজ হবে। বসানো হবে সিসি ক্যামেরাও।

spot_img
spot_img

সবাই যা পড়ছেন

spot_img