শুভদীপ রায় চৌধুরী
উত্তরপ্রদেশের রাম মন্দিরের অনুকরণে এবার অস্থায়ী রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে কলকাতাতেও। আর অযোধ্যায় মন্দির আগেই সেটির উদ্বোধন হবে। কলকাতার প্রথম সারির এক পুজোয় এবার দেখা যাবে রামমন্দির। একইসঙ্গে সম্পূর্ণ এক অন্য অভিনব ভাবনা নিয়ে নিজেদের মণ্ডপকে সাজিয়ে তুলছে সুরুচি সংঘ। পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, সুরুচি সংঘের অন্যান্য বছরের সব রেকর্ড এবার ভেঙে দেবে সুরুচি নিজেই।
অযোধ্যার মন্দিরের আদলে এবার পুজো মণ্ডপ তৈরি করছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। মধ্য কলকাতার এই পুজোয় গেলে, দেখা যাবে ৫০ ফুট উচ্চতার রাম এবং হনুমানের মূর্তি। পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা সজল ঘোষ জানান, অযোধ্যায় রাম মন্দির খোলার আগেই মানুষকে তার এক প্রতিরূপ দেখাতে চলেছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার।
পুজো কমিটির বক্তব্য, তাঁদের পুজোয় এলে রাম মন্দির প্রাঙ্গণের অনুভূতি কিছুটা হলেও পাবেন দর্শনার্থীরা।
দক্ষিণ কলকাতার নামজাদা বারোয়ারি পুজোগুলির অন্যতম সুরুচি সংঘ। প্রতিবারই এই পুজোমণ্ডপে উপচে পড়া ভিড় জানান দেয় সুরুচির জনপ্রিয়তা। শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইলার হাত ধরে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা মাতৃবন্দনায় সেজে উঠছে সুরুচি সংঘ। ‘মা তোর একই অঙ্গে এত রূপ’ এই ভাবনাকে সামনে রেখেই পুজোর আয়োজন করছে কলকাতার নামী এক পুজোকমিটি। পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে বার্তা দিয়ে ৭০তম বর্ষে এই পুজোয় এবার ব্যানার ও ফ্লেক্সে প্লাস্টিকের বদলে ক্যানভাস এবং কাপড় ব্যবহার করা হচ্ছে।
শারদোৎসবকে কেন্দ্র করে কলকাতা এবং সংলগ্ন জায়গায় ৩৫০ থেকে ৪০০টি ফ্লেক্স ব্যানার লাগানো হয়েছে। আর সেখানেই এবার পরিবেশ বান্ধবের অভিনব ভাবনা। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পুজো হিসেবে পরিচিত সুরুচি সংঘের পুজোর থিম এবং থিম সং-য়ের আত্মপ্রকাশ ঘটবে মহালয়ার দিনে।
পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘যেখানে সেখানে প্লাস্টিক ব্যবহার হওয়ায় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। সরকার কড়া পদক্ষেপ নিলেও অনেকেই এখনও সচেতন নন। তাই একদিকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা আর অন্যদিকে বিভিন্ন সংস্থাকে প্লাস্টিক বর্জন করার বার্তা দিতেই আমাদের এই ভাবনা। প্লাস্টিক বর্জন করে ক্যানভাস ও কাপড়ের ব্যবহার করার ক্ষেত্রে খরচ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও আমরা পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই প্লাস্টিক বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”