বিহারের সংশোধিত ভোটার তালিকা থেকে প্রায় ৫২ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাদ পড়া তালিকায় ‘মৃত এবং স্থানান্তরিত’ ভোটারদের নামও রয়েছে। কমিশন আরও জানিয়েছে, আধার-রেশন কার্ড-ভোটার পরিচয়পত্র নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে না।
আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে ভোটার তালিকার নির্বাচন কমিশনের ‘বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা’ (স্পেশ্যাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর) নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।কমিশন মঙ্গলবার জানিয়েছে, আগামী ১ অগাস্ট যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে, তাতে সব যোগ্য ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিহারের ভোটার তালিকায় সংশোধন নিয়ে একাধিক মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে এখন শুনানি চলছে। এর মধ্যে কী ভাবে নির্বাচন কমিশন সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
১৭ জুলাই শীর্ষ আদালতের তরফে নির্বাচন কমিশনকে এসআইআর-২০২৫ এর উদ্দেশ্যে আধার, ভোটার আইডি এবং রেশন কার্ড বিবেচনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার কমিশন শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে এগুলি বিবেচনা করা যাবে না।
কমিশনের দাবি, আধার আদতে একটি পরিচয়পত্র মাত্র, নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। এমনকি, এসআইআর-পর্বে নতুন করে ভোটার তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে ভোটার আইডি চূড়ান্ত পরিচয়পত্র হতে পারে না বলেও জানিয়েছে কমিশন।
একইসঙ্গে শীর্ষ আদালতকে কমিশন জানিয়েছে, বিহারের বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়ার অধিকার ও কর্তৃত্ব তাদের আছে। কমিশন সর্বোচ্চ আদালতকে জানিয়েছে, দেশের ভোটার তালিকায় নাম থাকার ন্যূনতম যোগ্যতা হল, তাঁকে ভারতের নাগরিক হতে হবে।
কমিশন বলেছে, তাদের একমাত্র লক্ষ্য ভারতের নাগরিক নন, এমন ব্যক্তির নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া। নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫ অনুযায়ী, তাদের সেই ক্ষমতা রয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ২৮ জুলাই।



