মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে বিশেষ নিবিড় মূল্যায়ন বা এসআইআর-এর কাজ। ওই দিন থেকে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাবেন বিএলও বা বুথ স্তরের অফিসাররা৷ ভোটারদের হাতে তাঁরা তুলে দেবেন এনুমারেশন ফর্ম (Enumeration form)৷ ভোটার তালিকায় নাম রাখার জন্য এই ফর্ম পূরণ করে বিএলও-দের কাছে জমা দিতে হবে ভোটারদের৷
প্রশ্ন হল, বিএলও-রা এসআইআর-এর কাজে বাড়িতে এলে, সেই সময় ভোটার বাড়িতে না থাকলে কী হবে?
আজ থেকেই কলকাতা সহ জেলাগুলিতে বিএলও-দের প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে৷ সেই প্রশিক্ষণ শিবিরে বিএলও-দের বলা হয়েছে, কোনও ভোটারকে বাড়িতে না পেলে, সেই বাড়িতে একজন বিএলও-কে সর্বাধিক তিন বার যেতে হবে। তার পরেও যদি সেই ভোটারকে না পাওয়া যায়, অথবা বাড়ি যদি তালাবন্ধ থাকে, বিএলও অ্যাপের মাধ্যমে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।
প্রথম যেদিন বিএলও বাড়িতে আসবেন, সেদিন বাড়ি যদি তালাবন্ধ থাকে, তবে বিএলও দরজার ফাঁক দিয়ে অথবা লেটার বক্সে এনুমারেশন ফর্ম রেখে যাওয়ার চেষ্টা করবেন৷ সেইসঙ্গে ওই বাড়িতে একটি নোটিসও সাঁটিয়ে দিয়ে আসবেন তিনি৷ পরের দিন তিনি কবে আবার ওই বাড়িতে আসবেন, ওই নোটিসে তারও উল্লেখ থাকবে৷ ভোটারের খোঁজে এই ভাবে ওই বাড়িতে আরও দু দিন যেতে হবে বিএলও-কে৷
তবে ভোটার নিজেও বিএলও-র সঙ্গে যোগাযোগ করে নিতে পারেন৷ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের ওয়েবসাইটে নিজের বুথ এলাকার বিএলও-র মোবাইল নম্বর রয়েছে। সেই নম্বরে ফোন করে বিএলও-র সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করতে পারবেন৷ ভোটারের নম্বর এবং তাঁর পরিচয় বিএলও অ্যাপেও উঠে যাবে৷ এর ফলে বিএলও নিজেও ‘বুক এ কল’ (Book a call) অপশনের মাধ্যমে সেই ভোটারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন৷ ভোটারকে একবারে ফোনে না পেলে, অন্তত তিন বার তাঁকে ফোন করতে হবে বিএলও-কে৷
বাড়ির কোনও একজন সদস্য উপস্থিত না থাকলে, পরিবারের অন্য কোনও একজন প্রাপ্তবয়স্ক সদস্য বিএলও-র কাছ থেকে সই করে অনুপস্থিত সদস্যের এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে নিতে পারবেন৷ এমন কি, অনুপস্থিত সদস্যের নথিও প্রয়োজনে বিএলও-কে দেখাতে পারবেন বাড়ির অন্য সদস্যরা। যাঁরা বিদেশে রয়েছেন, তাঁরা অনলাইনে ফর্ম ডাউনলোড করে তা পূরণ করে জমা দিতে পারবেন৷ বিএলও-র সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে ফোনের মাধ্যমে নথি পাঠিয়ে দিতে পারবেন৷



