একদিনে ১৫টি পদক জিতে এশিয়াডে নতুন ইতিহাস গড়ল ভারত। ২০১০ সালের এশিয়ান গেমসে এক দিনে ভারত জিতেছিল ১১টি পদক। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন ভারতের ক্রীড়াবিদরা। এর মধ্যে অ্যাথলেটিক্সে এসেছে ৯টি পদক। এছাড়া ব্যাডমিন্টন, বক্সিং, গল্ফেকেও দেশকে সাফল্য এনে দিয়েছেন ভারতের ক্রীড়াবিদেরা। রবিবার পর্যন্ত ৫৩টি পদক জিতেছে ভারত।
রবিবার তিনটি সোনা জিতেছেন ভারতীয়রা। এর মধ্যে অ্যাথলেটিক্সে দু’টি এবং ৩০০০ মিটার স্টিপলচেজ়ে ভারতকে সোনা এনে দেন অবিনাশ সাবলে। শটপাটে তেজিন্দার তুর সোনা জিতেছেন। অন্য সোনাটি এসেছে শুটিংয়ে। এ বারের এশিয়ান গেমসে শুটিংয়ে ভারতের জয়জয়কার।
অ্যাথলেটিক্স
এশিয়ান গেমসে আজ অবিনাশ সাবল ৩০০০ মিটার স্টিপলচেজ়ে সোনা জেতেন। এ বারের এশিয়ান গেমসে অ্যাথলেটিক্সে প্রথম সোনা জিতল ভারত। ৮ মিনিট ১৯.৫০ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন অবিনাশ। এশিয়ান গেমসে রেকর্ড গড়লেন তিনি।
অ্যাথলেটিক্সে দ্বিতীয় সোনা আসে তেজিন্দার পাল তুরের হাত ধরে। ২০.৩৬ মিটার দূরত্বে শট পাট ছুড়ে দেশকে ১৩তম সোনা এনে দেন তিনি।
এ দিন ভারতের জ্যোতি ইয়ারাজি পদক নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, মেয়েদের ১০০ মিটার হার্ডলসে তিনি ব্রোঞ্জ পেয়েছেন। কিন্তু পরে জানা যায় যে, তিনি রুপো পেয়েছেন।
ছেলেদের লং জাম্পে রুপো পেয়েছেন মুরলী শ্রীশংকর। মেয়েদের হেপ্টাথেলনে ভারতকে ব্রোঞ্জ পদক এনে দিয়েছেন নন্দিনী আগাসারা।
ডিসকাস থ্রোয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন ৪০ বছরের সীমা পুনিয়া। মেয়েদের ১৫০০ মিটার দৌড়ে রুপো জিতেছেন হারমিলান বাইন্স। পুরুষদের ১৫০০ মিটার দৌড়ে রুপো এবং ব্রোঞ্জ ভারতের। অজয় কুমার সারোজ এবং জিনসন জনসন যথাক্রমে এই পদক পেয়েছেন।শুটিং
রবিবারের ভারতের প্রথম সোনা যদিও আসে শুটিংয়ে। পুরুষদের দলগত ট্র্যাপ ইভেন্ট থেকে দেশকে সোনা দেন কিনান দারিয়াস, জ়োরাভার সিংহ সান্ধু এবং টি পৃথ্বীরাজ। গেমস রেকর্ড করেছেন তাঁরা। শুটিংয়ে এ বারে সাতটি সোনা জিতেছে ভারত। ৩৬১ পয়েন্ট তুলে সোনা জিতেছে ভারতীয় দল।
মেয়েদের দলগত ট্র্যাপ ইভেন্টেও রুপো জিতেছে ভারত। ছেলেদের ট্র্যাপ ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জেতেন কিনান।
ব্যাডমিন্টন
পুরুষদের দলগত বিভাগে সোনা জয়ের আশা ছিল ভারতের। কিন্তু রুপো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল।
২-৩ ব্যবধানে চিনের কাছে হেরে রুপো পেল ভারত। এই প্রথম পুরুষদের ডাবলসে রুপো পেল ভারত।
ভারতের প্রথম মহিলা গল্ফ খেলোয়াড় হিসেবে এশিয়ান গেমসে পদক জয়ের নজির গড়লেন অদিতি অশোক। তবে শেষটা ভাল হয়নি তাঁর।
পারলেন না অদিতি। তৃতীয় রাউন্ডের শেষে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু মাঝামাঝি সময় থেকেই পিছিয়ে পড়তে শুরু করেন। শেষ রুপো জেতেন তিনি।
বক্সিং
নিখাত জারিন রবিবার সেমিফাইনালে হেরে যান। ৫০ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল তাঁকে।