কেরোসিনের বিপুল দামবৃদ্ধিতে বেজায় সঙ্কটে পড়েছেন ডিলাররা। ডিলারদের অভিযোগ, বেনজির দামবৃদ্ধির কারণে বহু গ্রাহক কেরোসিন কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। এর ফলে এই গণবণ্টন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত রাজ্যের ১ লক্ষ পরিবার সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলে ডিলারদের অভিযোগ। এই পরিস্থিতির জন্য ডিলাররা দায়ী করছেন কেন্দ্রীয় সরকারকেই।
বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল কেরোসিন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অশোক গুপ্ত, Association of SK Oil Dealer in Bulk Supply W.B.-এর সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল সাহা এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল কেরোসিন এজেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস জোয়ারদার।
২০২০-র মার্চ থেকে কেরোসিনের ওপর ভর্তুকি পুরোপুরি তুলে দিয়েছে কেন্দ্র। এর ফলে গণবণ্টনের মাধ্যমে দেওয়া কেরোসিনের দামেও ওঠানামা শুরু হয়। ডিলারদের অভিযোগ, কেন্দ্রের নীতির ফলে বর্তমানে কেরোসিনের দাম লিটারপিছু ৮৫ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। অথচ এই দাম ৬০ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। কেন্দ্র গরিবের জ্বালানি কেরোসিন থেকেও মুনাফা করছে বলে অভিযোগ করেছেন কেরোসিন ডিলাররা।
অশোক গুপ্ত, চঞ্চল সাহা এবং দেবাশিস জোয়ারদার বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে গ্যাসের পাশাপাশি কেরোসিনের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে গাছ কেটে কাঠ, ঘুঁটে, কয়লা প্রভৃতি দূষণ সৃষ্টিকারী জ্বালানিকে বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করছেন। এতে পরিবেশ পরিবেশ দূষণও বেড়ে চলেছে বলে তাঁদের অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ডিলাররা।
তাঁরা আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গে ৪৭৬ জন এজেন্ট, ৮৩০ জন বড় ডিলার এবং ২৯ হাজার ডিলারের মাধ্যমে গ্রাহকদের কেরোসিন পরিষেবা দেওয়া হয়ে থাকে।