পূর্ব রেলের শিয়ালদহ বিভাগে শহরতলির লোকাল ট্রেনে মহিলাদের কোচের সংখ্যা দুই থেকে বাড়িয়ে তিন করায় যাত্রীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে বিক্ষোভ, রেল অবরোধের ঘটনাও ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে মহিলা বগির সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে রেলের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি কারণ তুলে ধরা হয়েছে।
রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, শহরতলির ট্রেনে যাত্রীদের মধ্যে ২৫ শতাংশেরও বেশি মহিলা যাত্রী। মহিলা যাত্রীদের পক্ষ থেকে কোচের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানানো হচ্ছিল।
এর ব্যাখ্যা দিয়ে রেল জানিয়েছে, ২৫% মহিলার আনুপাতিক হারে ১২ কোচবিশিষ্ট একটি EMU-তে ৩টি মহিলা কোচ প্রয়োজন। সেই অনুযায়ী, ট্রেনের উভয় প্রান্ত থেকে তৃতীয় কোচের অর্ধেক অংশ সাধারণ কোচ থেকে রূপান্তর করে মহিলা কোচ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ফলে, আগে যেখানে ২টি মহিলা কোচ ছিল, এখন ১টি কোচ বৃদ্ধি পেয়ে মোট ৩টি মহিলা কোচ হয়েছে।
গত বছর শিয়ালদহ বিভাগের সমস্ত লোকাল ট্রেনে বগির সংখ্যা ৯ থেকে বাড়িয়ে ১২ করা হয়েছে। এর ফলে সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে সুবিধাও বেড়েছে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৯০০টি ১২-কোচবিশিষ্ট EMU পরিষেবা চালানো হচ্ছে। রূপান্তরের পর ৩টি কোচ মহিলাদের জন্য নির্ধারিত হয়েছে এবং বাকি ৯টি সাধারণ যাত্রীদের জন্য। আগে ছিল ২টি মহিলা এবং ৭টি সাধারণ কোচ।
রেলের বক্তব্য হল, আগে ট্রেনের দুই প্রান্তে শুধুমাত্র ১টি করে মহিলা কোচ থাকার ফলে, মহিলা যাত্রীদের উঠা-নামায় বেশি সময় লাগত, যা তাঁদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঝুঁকির ছিল এবং ট্রেন চলাচলের গতি ও সময়ানুবর্তিতায় তার প্রভাব পড়ত।