মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, মন্ত্রিসভায় ছোট রদবদল ঘটানো হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, তিনি কার্যত মন্ত্রিসভার খোলনলচে বদলে দিলেন। ববি হাকিম সহ একাধিক মন্ত্রীর দফতর যেমন কাটছাঁট করা হয়েছে, তেমনই শশী পাঁজা, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাসদের দায়িত্ব বাড়ানো হয়েছে।
অপসারিত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে থাকা তিনটি দফতর দেওয়া হয়েছে ৩ জনকে। চমকপ্রদভাবে শিল্প দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন শশী পাঁজা। এতদিন তিনি শুধুমাত্র মহিলা ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। তাঁকে শিল্প ও শিল্প পুনর্গঠন দফতরের দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা। মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে নতুন যে ৯ জন মন্ত্রী হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বাবুল সুপ্রিয়কে পর্যটন এবং তথ্য-প্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী করা হয়েছে। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে দেওয়া হয়েছে কৃষির পাশাপাশি পরিষদীয় দফতরের দায়িত্ব।
উল্লেখযোগ্য হল, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের দফতর কাটছাঁট। ববি হাকিম পরিবহন, পুর ও নগরোন্নয়ন এবং আবাসন দফতরের দায়িত্ব ছিলেন। তাঁকে পরিবহণ ও আবাসন দফতর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পরিবহণ দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন হুগলির জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
অন্যদিকে, বর্তমানে বিদ্যুৎ এবং ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাতে আবাসন দফতরের দায়িত্বও তুলে দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রাক্তন কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার পেয়েছেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন।
নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক প্রথম বার মন্ত্রিসভায় এসে সেচ দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন। আর সৌমেন মহাপাত্রকে সেচ দফতর তথা মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
কোচবিহারের দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী করা হয়েছে। মলয় ঘটকের থেকে পূর্ত দফতর নিয়ে পুলক রায়কে দেওয়া হয়েছে। পুলক রায় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। এখন তিনি জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের পাশাপাশি এখন পূর্ত দফতরও দেখবেন তিনি।
দায়িত্ব বেড়েছে মানস ভুইঞাঁরও। এতদিন তিনি শুধু জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন। এখন তাঁকে পরিবেশ দফতরের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে।
ঝাড়গ্রামের বিধায়ক বীরবাহা আগে ছিলেন প্রতি মন্ত্রী। এখন তাঁকে স্বাধীন দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বন এবং স্বনিযুক্তি দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বাধীন দায়িত্ব প্রাপ্ত নতুন প্রতিমন্ত্রী পূর্ব পাঁশকুড়ার বিধায়ক বিপ্লব রায়চৌধুরী মৎস্য দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন।
উজ্জ্বল বিশ্বাসকে কারা দফতর থেকে সরিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অখিল গিরিকে দেওয়া হয়েছে কারা দফতর। একদা সাধন পাণ্ডের ক্রেতা সুরক্ষা দফতর দেওয়া হয়েছে বিপ্লব মিত্রকে। ইন্দ্রনীল সেন তথ্য ও সম্প্রচার দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। তাঁর সঙ্গে পর্যটন দফতরও তাঁর অধীনে ছিল। এখন ইন্দ্রনীলকে কারিগরি শিক্ষা দফতরের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ তথ্য ও সংস্কৃতি এবং কারিগরি শিক্ষা দফতর দেখবেন তিনি।শ্রীকান্ত মাহাত ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের প্রতি মন্ত্রী হয়েছেন।