বিপর্যয় মোকাবিলা আইন প্রয়োগ করা হোক প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এমনই দাবি তুললেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের শোকজ বিতর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে অভিষেক বলেন, “বাংলার মানুষের জন্য কাজ করছিলেন উনি। আর তাঁকেই কেন শোকজ করা হল?”
এরপরই তাঁর মন্তব্য, “বিপর্যয় মোকাবিলা আইন প্রয়োগ করা উচিত প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও ওই আইন প্রয়োগ হোক। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রতি দিন দেশে যখন হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন, যখন সবাইকে বাড়িতে থাকার কথা বলা হচ্ছে, তখন প্রধানমন্ত্রী বাংলায় এসে সভা করে বলছেন, এত বড় সভা কখনও দেখিনি। ওর বিরুদ্ধে আগে ওই আইন প্রয়োগ হওয়া উচিত।”
বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায় ইয়াস বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে করেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। দুপুর ১টা নাগাদ তিনি হেলিকপ্টারে স্থানীয় দক্ষিণ মহেন্দ্রপুর শিবপ্রসাদ ভগবৎচন্দ্র হাইস্কুলে পৌছন। সেখান থেকে যান দুর্গাচকে৷ এখানে ‘ফ্লাড সেন্টার’-এ ৫০০-র মতো দুর্গত মানুষ রয়েছেন।
দুর্গতদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে অভিষেক বলেন, “আপনাদের বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে ৫ হাজার টাকা এবং সম্পূর্ণ ক্ষতি হলে ২০ হাজার টাকা করে সাহায্য পাবেন। গবাদি পশু, পানের বরোজের ক্ষতি হলেও অর্থ সাহায্য পাবেন। ক্ষতিপূরণ পাবেন মৎস্যজীবীরাও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যত দিন রয়েছেন, তত দিন কোনও চিন্তা করবেন না।”
দুর্গাচক থেকে তিনি যান রামগঙ্গা ঘাটে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর জানা প্রমুখ।