বিশেষ প্রতিনিধি : কফিতে চুমুক দিতে দিতে আড্ডা, এবার নিউটাউনে। কলেজ স্ট্রিট বা সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউয়ের মত টানা আড্ডার জায়গা হলো আরও একটা। হিডকোর সিএমডি ও নগরোন্নয়ন দফতরের সচিব প্রবীণ আইএএস অফিসার দেবাশিস সেন নতুন এই কফি হাউসে সবাইকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তবে এই কফি হাউসের চেহারার সঙ্গে কফি বোর্ড পরিচালিত শহরের আইকনিক কফি হাউস দুটির কোনও মিল নেই। এটি ঝকঝকে তকতকে সুন্দর করে সাজানো। এলাকার বাসিন্দাদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই এই কফি হাউস সাজানো হয়েছে। নিউটাউনে কফি হাউসের বিভিন্ন খাবারের দাম কিন্তু বাকি দুই কফি হাউসের তুলনায় খুব একটা বেশি নয়।
মান্না দে-র গান “কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আর নেই ..”মুখে মুখে ঘোরে আজও। তবে কফি হাউসের আজকের ছবিতে দেখা যাবে, আড্ডা চলছে একইরকম। শুধুমাত্র মুখগুলি বদলে গিয়েছে। একসময়ের আড্ডাবাজদের অনেকেই আজ নেই।কেউ কেউ বৃদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু কলেজ স্ট্রিট বা সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউয়ের কাছাকাছি গেলে আজও তাঁরা একবার ঢুঁ মারেন, কফি নিয়ে ফেলে আসা দিনের কথা বলেন।
করোনা আবহের মধ্যেই কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউসে এক প্রবীণ দম্পতি তাঁদের বিয়ের ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান করেছেন। এইখানেই প্রথম পরিচয় হয়েছিল তাঁদের, কলেজে পড়াশোনার সময়ে।
এক প্রবীণ আইএএস অফিসার ক’দিন আগেই বই খুঁজতে কলেজ স্ট্রিটে গিয়েছিলেন। বই নিয়ে সোজা কফি হাউসে। তাঁর টেবিলে কয়েকজন তরুণ-তরুণী আড্ডা দিচ্ছিলেন। তিনি ওদের সঙ্গে আলাপ জমিয়ে কফিতে চুমুক দিয়ে ওঠার সময়ে একশো টাকার নোট দিয়ে ওঁর সদ্য পরিচিতদের কফির দামটাও নিতে বলেন।
তাঁর কথায়, মাঝে মাঝেই যাই। একটা সময়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কেটেছে ওখানেই। মনে হয়, এই কফি হাউসের অনেক বদল হলেও একই ধারাবাহিকতা রয়ে গেছে। নিজেকে অনেকটা ফ্রেশ করে নেওয়া যায়। মনটা ভালো লাগে বেশ।
কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউসের জন্ম ১৯৪২ সালে। ঠিকানা ১৫ বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলকাতা ৭000১৪। প্রেসিডেন্সি কলেজ, সংস্কৃত কলেজের উল্টো দিকে। সরকারিভাবে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা। সম্প্রতি এই কফি হাউস হেরিটেজ তালিকায় জায়গা পেয়েছে।