একই অলিম্পিক থেকে ২টি পদক জিতে ইতিহাস তৈরি করেছেন ২২ বছরের শুটার মনু ভাকের। ১৯০০ সালে নর্মান প্রিচার্ড একই অলিম্পিক্সে দুটি রুপো জিতেছিলেন। কিন্তু তিনি ছিলেন ব্রিটিশ। দেশের স্বাধীনতার পরে একই অলিম্পিক্সে কোনও ক্রীড়াবিদ জোড়া পদক জিততে পারেননি।
তবে মনুর এই সাফল্যের নেতৃত্বে রয়েছে তাঁর কোচ যশপাল রানার বিশেষ ভূমিকা। যদিও নিজেকে কোনও কৃতিত্ব দিতে নারাজ রানা। পদক জয়ের পর মনু যখন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে চোখের জল মুছছিলেন যশপাল। তিনিও অলিম্পিক্স শুটার, তাঁর ঝুলিতেও রয়েছে বহু রেকর্ড। কথায় কথায় বললেন, “মনুই আজ আমাদের হিরো। আমি শুধু পাশে থেকেছি।”
তবে অভিমানের সুরে বলেছেন, “মানুষ কি জানেন, গত তিন বছরে ভারতের ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন বা অন্য কোনও সংস্থা থেকে আমি কোনও মাসিক বেতন পাইনি? এখন আমার হাতে কোনও ভালো চাকরিও নেই। ভারতে ফেরার পর আবার আমাকে সব কিছু নতুন করে শুরু করতে হবে। রোজগার করার জন্য আমাকে একটা কাজ খুঁজতে হবে।”
এক সাক্ষাৎকারে মনুর ব্যক্তিগত কোচ আক্ষেপ করে আরও বলেছেন, “৪ বছর আগে টোকিও অলিম্পিক্সে মনু ব্যর্থ হওয়ার পরে সবাই আমাকে ভিলেন বানিয়েছিল। সবাই বলেছিল, আমার জন্যই নাকি মনু পদক পায়নি।”
রানা বলেছেন, “টোকিও অলিম্পিকের পর যাঁরা আমাকে ভিলেন বানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁরাই এখন আমার সাক্ষাৎকার চাইছেন। অথচ আমি টোকিয়োয় যাইনি। তবে ওঁরা আমার অনেক ক্ষতি করে দিয়েছেন।”
ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার সভানেত্রী পি টি ঊষার উদ্যোগে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড না পেলে, এবারের অলিম্পিকে রানার যাওয়াই হত না।
এক সময় দেশের অন্যতম সেরা শুটার ছিলেন রানা। ২০০৬-এর এশিয়ান গেমসে তিনটি সোনা-সহ ৪টি পদক জিতেছিলেন। ১৯৯৪ এশিয়ান গেমসেও সোনা জিতেছিলেন।