আলোচনা এবং নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করলেন তাঁরই নামাঙ্কিত যাদবপুরের পলিটেকনিক কলেজের প্রাক্তনীরা। দেশবরেণ্য এই বিজ্ঞান সাধকের ১৬২তম জন্মবার্ষিকীতে এ পি রায় পলিটেকনিক কলেজ প্রাঙ্গনে এক আলোচনা সভায় তাঁর জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন বিজ্ঞানী এবং শিল্পজগতের বিশিষ্টজনেরা।
এ বছর আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল, “বিজ্ঞানী, শিল্পপতি ও বিপ্লবী হিসেবে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্রের জীবন দর্শন।” প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও রসায়নের অধ্যাপক ড. আশুতোষ ঘোষ। তিনি এ পি সি রায় স্মারক বক্তৃতা দেন। প্রফুল্ল চন্দ্রের জীবন ও কর্মের বক্তব্য পেশ করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ব বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক অরূপরতন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রফুল্লচন্দ্র প্রতিষ্ঠিত বেঙ্গল কেমিক্যালের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (বিপণন) বিপ্লব দাশগুপ্ত প্রমুখ।
প্রফুল্লচন্দ্রের জীবন ও মূল্যবোধ ৭৩ বছরের পুরনো এই ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানকে কীভাবে প্রভাবিত করেছে, সে সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তনী আ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি প্রসূন কান্তি ভট্টাচার্য এবং এই পলিটেকনিক কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ মৃণ্ময় কাঞ্জিলাল।
আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রের ঘটনাবহুল জীবনের নানা তথ্য তুলে ধরেন, এই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তনী এবং আলোচনাচক্রের আহ্বায়ক দেবজ্যোতি মজুমদার।
প্রফুল্লচন্দ্রের গবেষণা, এর প্রাসঙ্গিকতা, শিক্ষাদান এবং তাঁর জীবন থেকে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষণীয় দিকগুলি নিয়ে আলোচনা করেন অধ্যাপক বাণীব্রত চক্রবর্তী।
২০২২ সালে এই কলেজের ৬টি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে শীর্ষস্থান পাওয়া পড়ুয়াদের হাতে এ পি সি রায় স্মারক এবং শংসাপত্র তুলে তুলে দেওয়া হয়। এই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন অধ্যক্ষ কাঞ্চন চক্রবর্তী, মুখ্য উপদেষ্টা সত্যব্রত দাশগুপ্ত প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ধন্যবাদজ্ঞাপক ভাষণ দেন প্রাক্তনী সংগঠনের সম্পাদক বিপ্লব জানা।