২০১৪ সালের প্রাথমিকে টেটের মাধ্যমে ১৬ হাজার ৫০০ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল পর্ষদ। এর বিরুদ্ধে একাধিকবার আদালতে মামলা করেন ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীরা। মামলাকারীদের অভিযোগ, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল। কিন্তু ওই বছর ৬টি প্রশ্ন ভুল থাকা সত্ত্বেও বহু পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি করলেও অনেকেই সঠিক উত্তর দিয়েও বঞ্চিত হয়েছেন। পরে আদালত এই প্রসঙ্গে জানিয়েছিল, ওই ৬টি প্রশ্নের যাঁরা উত্তর দিয়েছিলেন তাঁদের পূর্ণ নম্বর দিতে হবে। সেই নির্দেশ মেনেই নিয়োগ সম্পর্কিত কাজ শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, পিটিশনারদের নিয়োগ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। অনেকেই নিয়োগপত্র পেয়েছেন। এখনও ১০৫০টি আসন পিটিশনারদের জন্য ফাঁকা আছে। পর্ষদের পক্ষ থেকে গত ২৯ মার্চ আদালতকে এই সিট সংখ্যা সম্পর্কে জানানো হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, পর্ষদ খুব শিগগিরই গ্রিভ্যান্স লিস্ট বার করে ২০১৪ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২০ সালের, ১১ নভেম্বর ঘোষণা করেছিলেন যে, ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট পাস প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাড়ে ১৬ হাজার চাকুরিপ্রার্থীকে দ্রুত চাকরি দেওয়া হবে।
পাশাপাশি বাকি প্রার্থীদেরও ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হবে। সেই নিয়োগ এবার সম্পন্ন হবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।