যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে প্রথম বর্ষের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। এরই মাঝে এবার র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও।
সদ্য পাশ করা এক ছাত্র তাঁর ওপর র্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলেছেন। কয়েক মাস আগে বিষয়টি পুলিশকেও জানানো হলেও, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লঘু ধারা দেওয়া হয়েছে বলে ওই ছাত্রের অভিযোগ। ওই ছাত্রের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছেও তিনি বার বার অভিযোগ জানিয়েছেন। বিষয়টি তিনি রাজ্য মানবাধিকার কমিশনেরও নজরে এনেছেন।
বর্তমানে বালিগঞ্জ হস্টেলের বাসিন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-টেকের ওই ২০১৯ সালে ভর্তির পর থেকেই র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘ইন্ট্রো’র নামে সিনিয়রেরা তাঁকে দিয়ে মদ আনাতেন এবং মদের গ্লাস ধোয়াতেন।
করোনার সময় ২ বছর বাড়িতে থাকার পর হস্টেলে ফিরলে, তাঁর ওপর তিনি অত্যাচার চালানো হয় অভিযোগ। এর মধ্যে রয়েছে, রাতে তাঁর দরজায় তালা দিয়ে দেওয়া, ঘরে প্রস্রাব করতে বাধ্য করা, মেসের খাবার বন্ধ করে দেওয়া প্রভৃতি।
এই ব্যাপারে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়ে এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি চেয়েছে। টিএমসিপি নেতা অভিরূপ চক্রবর্তীর নেতৃত্বেই এই র্যাগিং চালানো হয়েছে বলে এসএফআইয়ের অভিযোগ।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র এবং টিএমসিপি-র অন্যতম সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, সবটাই এসএফআইয়ের অপপ্রচার। প্রয়োজনে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হোক।