পশ্চিমবঙ্গ থেকে গত ৪ বছরে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ উদ্ধার করেছে ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ থেকে এ পর্যন্ত পূর্বাঞ্চল যে পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা দেশের অন্য জোনগুলিকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
ইডি-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পূর্বাঞ্চল থেকে গত চার বছরে উদ্ধার করা হয়েছে ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা রেকর্ড। এই টাকার বেশিরভাগটাই উদ্ধার হয়েছে বাংলা থেকে। বাংলার পাশাপাশি ইডি-র ইস্টার্ন জোনের মধ্যে রয়েছে ওড়িশা, আসাম, মেঘালয়, মণিপুরের মতো রাজ্য।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৫০ কোটি, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ২৩০ কোটি, বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় ১০,০০০ কোটি টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায়), ই-নাগেটস গেম অ্যাপ মামলায় ১৫০ কোটি, টিপি গ্লোবাল অনলাইন ফোরেক্স কেলেঙ্কারি মামলায় ২৭৫ কোটি, ভুয়ো কল সেন্টার (Met টেকনোলজি) মামলায় ৯০ কোটি, সন্দেশখালিতে জমি দখল দুর্নীতি মামলায় ৩০ কোটি, রেশন দুর্নীতি মামলায় ৩৬ কোটি টাকা, গণেশ জুয়েলারি জালিয়াতি মামলায় ফেমা আইনে জরিমানা ৬৫০০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
শিক্ষক নিয়োগ, পুর নিয়োগ থেকে শুরু করে রেশন দুর্নীতি রাজ্য জুড়ে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। ইডি’র সদর দফতর বলছে, হাই প্রোফাইল মামলায় তল্লাশি ও গ্রেফতারের সংখ্যাও এই চার বছরে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।
প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে ৫২ কোটি টাকা উদ্ধারের পরই রাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। তবে এইসব দুর্নীতি মামলার একটিতেও এখনও পর্যন্ত বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি, যার জেরে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ অভিযুক্ত জামিন পেয়ে যাচ্ছেন।
এছাড়া, শিলংয়ের একটি মামলায় (ম্যাট্রিক্স পার্টনার ফান্ড অ্যাপ) বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই ৫০ কোটি টাকা বাদ দিলে, বাকি প্রায় পুরোটাই উদ্ধার হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে।