ক্যান্সারের বিরুদ্ধে জয়ী হতে গেলে, দ্রুত রোগ নির্ণয় অত্যন্ত জরুরি। তাতে ডাক্তারের পক্ষে রোগের চিকিৎসা করা অনেক সহজ হয়। বিশ্ব ক্যান্সার দিবসে এই বার্তাই দিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
ক্যান্সার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে শুক্রবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন রুবি জেনারেল হাসপাতালের বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। সেখানে বিশিষ্ট ক্যান্সার চিকিৎসক সৌম্য মুখার্জি বলেন, “বয়স ৪০ পেরোলেই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত। অনেক সময় শরীরে ক্যান্সার বাসা বাঁধলেও, তা বাইরে থেকে বোঝা যায় না। রোগ একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়। সেক্ষেত্রে রোগীও দ্রুত সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন।”
ক্যান্সার শল্য চিকিৎসক জয়েশ ঝা বলেন, “ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে হলে, রোগীর মানসিক বল থাকা প্রয়োজন। ক্যান্সার মানেই মৃত্যু, এ ধারণা মুছে ফেলতে হবে। উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে অসংখ্য মানুষ সুস্থও হয়ে উঠছেন।”
রুবি ক্যান্সার সেন্টারের রেডিয়েশন অঙ্কোলজি বিভাগের প্রধান সঞ্জয় রায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবনযাপন ও নিয়মিত ব্যায়ামের ওপর জোর দেন।
আরেক ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা এখন দিন দিন যেভাবে বাড়ছে, তাতে আগামী দিনে ডায়াবেটিস, হৃদরোগের মতো প্রতিটি পরিবারে কেউ না কেউ ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই এখন থেকেই রোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে হবে।”
হাসপাতালের দুই অধিকর্তা ডি পি সমাদ্দার ও সুজয় রঞ্জন দেব ক্যান্সার চিকিৎসায় রুবির বিভিন্ন পরিকাঠামোর কথা তুলে ধরেন। ক্যান্সার নির্ণয়ে রুবি হাসপাতাল ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে মাত্র ৯৯৯ টাকায় বিশেষ পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে বলে জানান তাঁরা।
এদিন ক্যান্সার-জয়ী দুই ব্যক্তি রোগের বিরুদ্ধে তাঁদের লড়াইয়ের কথা তুলে ধরেন।