হীরক কর
মৃগীচামি (Mrigichami)। যেখানে পাখিরা গান গায়। ভোরে- সন্ধ্যায় শোনা যায় ময়ূরের কেকা ধ্বনি। দূরের পাহাড়ে ছুটে বেড়ায় হরিণের দল। সকালে পায়ের কাছে ঘুরঘুর করে বাদামি বুনো খরগোশ। অগ্রহায়ণে পাহাড় থেকে নেমে আসে দলমার দামালরা। মাঠের সোনালী ধান খেয়ে যায়। সাতগুরুং নদীর কলকল শব্দ, চেক ড্যামের গর্জন অরণ্যের নির্জনতা খান খান করে দেয়। টি টি করতে করতে টিটি পাখি উড়ে যায় শাল থেকে পিয়ালে। গ্রীষ্মে মহুল গাছের মহুয়ার গন্ধে হাঁপাতে হাঁপাতে আসে ইন্ডিয়ান স্লথ বিয়ার। হা হা হা, হায়নার হাসিতে চকিতে সজাগ বন-জঙ্গল।রাতের মৃগীচামি বুঝিয়ে দেয় নৈশব্দ্যেরও শব্দ আছে।
গ্রাম থেকে এক কিলোমিটার চড়াই উঠলে মৃগীচামির ‘শবরটোলা’ (Shabartola)। নারী-পুরুষ মিলিয়ে ১৪০ জন শবরের বাস। এখানেই গড়ে উঠল মায়ের নামে “শ্রীমতী বহ্ণি কর স্মরণে শবর সহজপাঠ”। যেখানে আজ পড়ুয়ার সংখ্যা ৩১।
১৯১১ সালে গোটা ভারতে ১৯৮টি জনগোষ্ঠী, সম্প্রদায়কে “অপরাধপ্রবণ আদিবাসী” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ব্রিটিশ সরকার ভারতের বিভিন্ন ছোট ছোট আদিবাসী গোষ্ঠী এবং জনজাতিদের “অপরাধপ্রবণ” তকমা এঁটে দেয়। মধ্যপ্রদেশের ‘গোন্দ’ উপজাতির মত পশ্চিমবঙ্গের ‘শবর’রাও অপরাধপ্রবণ আদিবাসীদের তালিকায় পড়ে যান। ফলে, সমাজ ভাবতে শুরু করে এরা জন্ম অপরাধী। এলাকায় কোনও অপরাধ হলেই, পুলিশ প্রথমে শবরদেরই ধরে আনত। পঞ্চাশের দশকের শেষে এদের ওই আইন থেকে ‘বিমুক্ত’ বলে ঘোষণা করে ভারত সরকার। অর্থাৎ এদের আর অপরাধপ্রবণ বলা চলবে না।
ভারত সরকার ‘বিমুক্ত’ বলে ঘোষণা করলেও সমাজ এবং পুলিশের মানসিকতা একই থেকে যায়। কোনও অপরাধ ঘটলেই ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’ -এর মত পুলিশ শবরদেরই ধরে। ওই সময় প্রায় ১২ হাজার মামলা বিচারাধীন ছিল। কখনও শবরদের পিটিয়ে মারা হয়, কখনও তাদের জমি কেড়ে নেওয়া হয়। উন্নয়ন তো দূর অস্ত। পরনে কটি বস্ত্র, মাথার ওপর ছাদ বলতে শুধু খেজুর পাতার ছাউনি।
ইতিহাসের পাতা ঘাঁটলে শবরদের দেখা যায়, নানা জনশ্রুতি, কাব্য গাথায়। শিল্পীর জাত শবর। এরাই গড়েছিল জগন্নাথের দারুব্রহ্ম মূর্তি। শবররা দড়ি ধরে না টানলে চলবে না পুরীর রথ। তাদের নিজস্ব ভাষা আছে। রয়েছে এক স্বতন্ত্র জীবনধারা। তাই রথের দিনটিকেই ‘শবর সহজপাঠ’-এর পথ চলার জন্য বেছে নিই।
ইংরেজ জমানায় জঙ্গলেই ছিল শবরদের বসবাস। স্বাধীন ভারতে ফরেস্ট আইন হলে, শবরদের জঙ্গল থেকে উৎখাত করা হয়। জঙ্গলের লাক্ষা, কাঠ, নিয়েই ব্যবসা করতেন স্থানীয় রাজা বা জমিদাররা।
বন দফতর জঙ্গল থেকে শবরদের বিতাড়িত করতে থাকলে, তাঁরা এসে হাজির হন রাজনোয়াগড়ের রাজা গোপীবল্লভ সিং দেও-এর কাছে। তিনি তাঁদের বুকে টেনে নেন। ১৯৬৮ সালের ৭ জানুয়ারি, গোপীবল্লভ তাঁদের নিয়ে সংগঠন তৈরি করেন। এভাবেই পথ চলা শুরু হল, “পশ্চিমবঙ্গ খেড়িয়া শবর কল্যাণ সমিতি”।
১৯৮৩ পর্যন্ত শবরদের কিছুই ছিল না। ওই বছর মালডী গ্রামে নতুন করে প্রতিষ্ঠিত হয় পশ্চিমবঙ্গ খেড়িয়া শবর সমিতি। তাঁরা চাইছিলেন ন্যূনতম মানবিক অধিকার। মানবাধিকার মানে, মানুষের মধ্যে মাথা তুলে বাঁচার অধিকার। জীবিকা, বাসস্থান, পানীয় জল, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা না থাকলে ‘মানব অধিকার’ কথাটা অর্থহীন। আশির দশকের শুরুতেই সমিতির কর্মযজ্ঞ ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের ৬৩টি গ্রামে।
১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে আমি আর প্রশান্ত রক্ষিত ঘটনাচক্রে রাজনোয়াগড়ের রাজা গোপীবল্লভ সিংদেওয়ের কাছে হাজির হই। সেই সময় ‘প্রবাসী’ খ্যাত রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের নাতি নির্মলপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় পুরুলিয়া থেকে ‘পুরুলিয়া গেজেট’ নামে একটি কাগজ প্রকাশ করতেন। আমি আর প্রশান্তদা সহযোগী সম্পাদক। আমি সতেরো। প্রশান্তদা তেইশ। বারো জন ছেলেমেয়ে নিয়ে হৈ হৈ করে কাগজ করতে নেমে পড়েছিলাম। শ্রীকান্ত, ইন্দ্রনাথের মত আমরা পুরুলিয়া জেলার মাঠে-ঘাটে বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতাম।
নির্মলপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় অর্থাৎ জ্যাঠামশাইয়ের চেহারায় ছিল আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের মত ঋজুতা। প্রথম জীবনে বামপন্থী চেতনার বারোই জুলাই কমিটির সম্পাদক। শেষ জীবনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পুরুলিয়া জেলার সভাপতি।
গোপীবল্লভের (Gopiballavpur) সান্নিধ্যে এসে প্রশান্তদার জীবনে এল এক বড় বাঁক। সরাসরি জড়িয়ে পড়লেন শবর সমিতির সঙ্গে। প্রথমে সমিতির কো-অর্ডিনেটর । পরে গোপীদার নির্দেশে ডিরেক্টর। ৮৫-তে আমি চলে আসি কলকাতায় । পড়াশোনার পাশাপাশি মনেপ্রাণে জড়িয়ে পড়ি সাংবাদিকতার সঙ্গে। সেই পঁচাশিতেই পেশা এবং জীবিকা হয়ে উঠল সাংবাদিকতা ।
১৯৮৩ -র ১০ নভেম্বর মালডী শবরমেলাতে (Shabarmela) মহাশ্বেতা দেবী (Mahashweta Devi) যোগদান করেন সমিতিতে। শবররা তাকে শবরমাতা বলে গ্রহণ করে। সেদিন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমিতির কার্যকরী সভাপতি হিসেবে ছিলেন মহাশ্বেতা দেবী।
সে সময় বিভিন্ন খবরের কাগজে কলম ধরেন তিনি। তিনি লিখলেন, প্রশাসন শবরদের কুনজরে দেখছে, শবরদের রক্ত পান করছে।” তাঁর লেখালেখির সূত্রেই খানিকটা টনক নড়ে প্রশাসনের। সেই সময় গ্রামে গ্রামে শুরু হয় স্কুল তৈরির কাজ।
প্রায় পাঁচ দশক ধরে পুরুলিয়া জেলার ১১টি ব্লকে ১৬২টি শবর টোলায় ২৬৩৭ টি পরিবার, বাঁকুড়া জেলার রানিবাঁধ ব্লকের ২৩ টি গ্রামে ৪২৪ টি পরিবার এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের বিনপুর ২ নম্বর ব্লকের আমলাশোল গ্রামের ২১টি পরিবার এই সমিতির চেষ্টায় অনেকটাই ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।
শবরপিতা গোপীবল্লভ সিংদেও আজ নেই। তিনি প্রয়াত হন ২০১৭ সালের ২৬ আগস্ট। শবর জননী মহাশ্বেতা দেবী প্রয়াত হয়েছেন ২০১৬ সালের ২৮ জুলাই।
২০১১ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত অর্থাভাবে সমিতি কোনও কাজ করতে পারেনি। এখানে নিত্যদিনের কর্মযজ্ঞ চালানোর জন্য টাকা পয়সা জোগাড় করতেন মহেশ্বেতা দেবী। তিনি মারা যাওয়ার পর কিছুটা থমকে দাঁড়াল সমিতির কাজ।
কমিউনিটি হলের ২৬টি নার্সারি স্কুলের মধ্যে কিছু সহৃদয় মানুষের অনুদানে ১০টি স্কুল চলছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া এই স্কুলগুলোর দায়ভার নিতে চাইছে সমিতি। যে কেউ চাইলে দত্তক নিতে পারেন। চলতি বছরের ২৩ শে জানুয়ারি চল্লিশ জন কর্মী একসঙ্গে বসে সারা বছরের উন্নয়নমূলক কাজের পরিকল্পনা করলেন। তখন সেখানে ছিলাম আমিও। ‘বালি নির্ভীক’ নামে একটি যুব গোষ্ঠীর তিন জন তরুণ এলেন। এক সকালে তাঁদের সঙ্গে আমি ও সমাজকর্মী কাকলি চক্রবর্তী গাড়িতে চেপে চললাম বলরামপুর ব্লকের সিরগি গ্রাম। কাঁচা মাটির রাস্তা পেরিয়ে পৌঁছয় সিরগি শবর টোলায়।
ভারী সুন্দর জায়গা। বুড়াবাবা পাহাড়। পাহাড়ের তলায় বিশাল জলাশয়। তার ঠিক উল্টো দিকে স্কুলের জমি ঠিক হল। বাচ্চাদের আনন্দ আর হৈ চৈ পাহাড়ে পাহাড়ে ধ্বনিত হল। সেই সন্ধ্যায় রাজনোয়াগড়ে কাঠের ধুনিতে আগুন পোহাতে পোহাতে সিদ্ধান্ত নিলাম আমিও একটা স্কুল করব। আমারও একটা গ্রাম হবে। আর স্কুল হবে মায়ের নামে। আমার মা প্রশান্তদাকে বিশেষ স্নেহ করতেন। বলতেন আমার বড় ছেলে। আমার চেয়ে তাঁর কাছে প্রশান্তদার কদর ছিল অনেক বেশি।
ভাবনা তো হল, কিন্তু স্কুল হবে কী করে? কথা পাড়তেই আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবরা আঁতকে উঠলেন। যে মানুষের নিজের চাকরির ঠিক নেই, সে স্কুল করবে কী করে? যে চাকরি খুঁজে বেড়ায়, সে শিশুদের দায়িদায়িত্ব নেবে কী করে? যিনি জন্ম দেন, তিনিই সহায় হন। কাকলি বললেন, বালি নির্ভীকের ওরা দশ-বারো জন আছে। সকলে কিছু কিছু করে টাকা দিলে হয়ে যাবে।
তোমার পাশে তো কেউ দাঁড়াল না। একা এত বড় দায়িত্ব নেবে কীভাবে ? প্রশান্তদারও এক প্রশ্ন। আমি বললেম, সব ঠিক হয়ে যাবে। কোনওদিনই দায়িত্ব নিতে পিছপা হইনি। একটাই লোভ, শেষ জীবনের একটা আস্তানা আর বনবাসী মানুষগুলোর ভালোবাসা। আর বনবিবির আর্শীবাদ।
প্রশান্তদাকে বললাম, পাহাড় জঙ্গলে এমন একটা জায়গা দেখ, যেখানে প্রকৃত সভ্যতার আলো ফুটবে। কিন্তু, উগ্র আধুনিকতা উপচে পড়বে না। অযোধ্যা পাহাড় নৈব নৈব চ। কেননা, শান্তিনিকেতন এবং অযোধ্যা পাহাড় পর্যটন-মাফিয়ারা শেষ করে দিয়েছে। এক দুপুরে, প্রশান্তদার ফোন, তোর গ্রামের নাম ‘মৃগীচামি’। আমি মাটির স্কুল বাড়ি তৈরির জন্য এস্টিমেট চাইলাম। প্রশান্তদা বলল, তার প্রয়োজন নেই। ওখানে সমিতির কমিউনিটি সেন্টার আছে । আছে গাছের নার্সারি। পাহাড়ের কোলে ওখানেই হবে স্কুল। বন্ধ হওয়া স্কুল মাসীমার নামে পুনরায় চালু করবি তুই। সমিতির কর্মীরা স্কুল গড়ার কাজে নেমে পড়লেন। শিক্ষক মননাথ শবর সমিতির প্রথম ব্যাচের ছাত্র কিন্তু বারবার বাধা হয়ে দাঁড়ায় করোনা।
সহজপাঠ ছাড়া কি স্কুল হয়। আমার মতে, রঙচঙে বই দিয়ে শিশু শিক্ষা হয় না। চাই রবীন্দ্রনাথের ‘সহজপাঠ’। স্কুলের নামও যে ‘শবর সহজপাঠ’। মে মাসের এক দুপুরে ঘাম ঝড়িয়ে আমি আর কাকলি সহজপাঠের খোঁজে কলেজ স্ট্রিট পাড়া চষে ফেললাম। উদ্বেগের কথা হল, বিশ্বভারতীর প্রকাশনা এখন সহজপাঠ ছাপে না। শেষ পর্যন্ত দে’বুক স্টোরের তপনবাবুর সহযোগিতায় ২৬ খানা সহজপাঠ মিলল।
পুরুলিয়া যাবার টিকিট কাটা ২৯ শে মে। ইতিমধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে । প্রশান্তদার ফোন, পুরুলিয়া শহরে রোজ ৩০০ লোকের করোনা হচ্ছে । তুই পুরুলিয়া শহর হয়ে আসবি, গ্রামের লোক কি তোকে গ্রহণ করবে? ফোন করে বসলাম তদানীন্তন জেলাশাসক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে। তিনি বললেন,আপনি আসতে পারেন । ট্রেন তো চলছেই। আমি বারণ করব কেন? তবে পূর্ব পরিচিত হিসেবে আপনাকে পরামর্শ দিতে পারি, আপনার কাজটা যদি পিছিয়ে জুলাই মাসে করেন। ২৯শে মের টিকিট বাতিল হল। বাচ্চাগুলোর জন্য মনটা খারাপ হয়ে গেল।
করোনার প্রকোপ কমল। প্রশান্তদা বলল, তুই এখন আসতে পারিস। ইতিমধ্যে জেলাশাসক বদলে গেছেন। নতুন জেলাশাসক রাহুল মজুমদার ফোন ধরেন না। পুরুলিয়ায় সাংবাদিকরাও তাঁকে ফোনে চেষ্টা করলেন। তাতেও কাজ হল না।
পুরুলিয়ার তরুণ তুর্কী সাংবাদিক বিবেক মাহাতোর পরামর্শে ডিএম সাহেবকে বিস্তারিত জানিয়ে ম্যাসেজ করলাম। কোনও উত্তর নেই। বিচিত্র এক জেলাশাসক। পরে জানলাম, তিনি নাকি সভাধিপতির নির্দেশ ছাড়া চলেন না। তাই, নিজের জেলার সাংবাদিকদেরও গুড বুকে থাকেন না। আমার আবার রাজনৈতিক নেতাদের সামনে হাত কচলানো অভ্যেস নেই।
১২ জুলাই সকালে আমি কাকলি, প্রশান্তদা, সমিতির সম্পাদক জলধর শবর, শিক্ষক ট্রেনার স্বপন, সকলে মিলে ছুটলাম বান্দোয়ান। রাজনোয়গড় থেকে মৃগীচামি ৬৫ কিলোমিটার। পুরুলিয়া থেকে ৯০ কিলোমিটার, গালুডি ২৫ কিলোমিটার। আর জঙ্গল পথে বুরুডি লেক ১৮ কিলোমিটার। গালুডির পাশেই আরণ্যকের বিভূতিভূষণের ঘাটশিলা। সোনার নদী সুবর্ণরেখা ।
সাতগুরুং নদীর জল মাড়িয়ে গাড়ি উঠল মৃগীচামির পাহাড়ে। স্কুল বাড়ির বারান্দায় শিশুরা কলকল করে উঠল। এক গাল হাসিতে গড়িয়ে পড়ল ফটিক। মননাথের চোখে মুখে টেনশন। ৩১ জন শিশুকে অক্ষর চেনাবার দায় যে ওর কাঁধেই। সবাইকে বিস্কুটের প্যাকেট, কেক, লজেন্স আর মাক্স দেওয়া হল। আর একটা করে সহজপাঠ। আমি আর জলধরদা বসলাম অ আ ক খ -র আসরে । মননাথের সঙ্গে সহজপাঠ খুলে জলধরদাও পড়াতে শুরু করলেন। এভাবেই শুরু হয়ে গেল ‘শ্রীমতী বহ্ণি কর শবর সহজপাঠ’-এর পথ চলা।
স্কুল শুরু হল। তবে প্রচুর কাজ বাকি। অগাস্টে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় রথের দিনেই পঠন-পাঠন চালু করে দেওয়া হল। এরপর যদি বহু দিন করোনা প্রকোপে আসতে না পারি। আবার লকডাউন হয়, ওরা তো ঝাড়খণ্ড ঘেঁষা প্রত্যন্ত গ্রামে, পাহাড়-জঙ্গলে, পড়াশোনাটা চালু রাখতে পারবে।
স্কুল বাড়ির সংস্কার প্রয়োজন। রঙ করা দরকার। দরকার ওদের স্কুল ড্রেস। এর জন্য মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। কোনও সহৃদয় ব্যক্তি যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসতে চান, আমার ইনবক্সে যোগাযোগ করতে পারেন।
আমার নতুন ঠিকানা
শবর সহজপাঠ, মৃগীচামি, গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পোস্ট-অফিস : কুচিয়া, ব্লক ও থানা : বান্দোয়ান, জেলা : পুরুলিয়া।