আবার কি কড়া হাতে দলের হাল ধরতে চলেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী? রবিবার কংগ্রেস কর্মসমিতির বৈঠকে সোনিয়ার নেতৃত্বের ওপর পুরোপুরি আস্থা প্রকাশ করা হয়। তারপরই মঙ্গলবার যেভাবে পাঁচ রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতিদের পদ ছাড়তে বললেন সোনিয়া, তাতে তাঁর কঠোর মনোভাবেরই ইঙ্গিত পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল।
সম্প্রতি বিধানসভা ভোটে পাঁচ রাজ্যে শোচনীয়ভাবে পর্যুদস্ত হয়েছে কংগ্রেস। তারই জেরে মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর এবং গোয়ার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের ইস্তফার নির্দেশ দেন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)।
পাঁচ রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন পাঞ্জাবের প্রদেশ সভাপতি প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজোৎ সিং সিধু ( Navjot Singh Sidhu)। অন্যরা হলেন উত্তরপ্রদেশের অজয়কুমার লাল্লু, উত্তরখণ্ডের গণেশ গোদীয়াল, গোয়ার গিরীশ চোড়নকর এবং মণিপুরের এন লোকেন সিং। এঁদের মধ্যে গোয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গিরীশ চোড়নকর মঙ্গলবার সকালেই ভোটে হারের দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন।
সূত্রে খবর, সিধুর কাজকর্মে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ সোনিয়া। গত বছরের জুলাই মাসে তাঁকে প্রদেশ সভাপতি করা হয়েছিল। হন তিনি। পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে বারবার বিবাদে জড়িয়েছেন সিধু। এরপর চরণজিৎ সিং চান্নির সঙ্গেও তাঁর সংঘাত তৈরি হয়। সিধুর জন্যই পাঞ্জাবে দলের শোচনীয় ফল হয়েছে বলে মনে করছে কংগ্রেস। ওই রাজ্যে এবার মাত্র ১৮টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস।