আপনার বাড়ি বা অফিসে যে প্যাকেজড বা বোতলবন্দি পানীয় জল খাচ্ছেন, তা কি আদৌ নিরাপদ? রাজ্যে ব্যাপক সংখ্যায় অবৈধ প্রস্তুতকারক সংস্থা গড়ে ওঠায় এই জলের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল প্যাকেজড ড্রিঙ্কিং ওয়াটার ম্যানুফ্যাকচারার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (WBPDWMWA)।
সরকারি নিয়ম ভেঙে রাজ্যে ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র যেভাবে পানীয় জল প্রস্তুতকারী সংস্থা গড়ে উঠেছে, তাতে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন এই সংগঠন।
এর গুণগত মান নিয়েও সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই বাজারে রমরম করে চলা বহু পানীয় জল সংস্থায় ক্ষতিকারক পদার্থের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে।
সোমবার কলকাতায় এক সাংবাদিক বৈঠকে WBPDWMWA-এর সভাপতি সঞ্জীব নাগ, চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র সুরানা, সচিব নবীন জয়রামকা, সহ সভাপতি সুদীপ ঘোষ প্রমুখ অভিযোগ করেন, রাজ্যে এখন যতগুলি পানীয় জল উৎপাদনকারী সংস্থা রয়েছে, তার মধ্যে ৯০ শতাংশই অবৈধ।
সুদীপ ঘোষ বলেন, “এই রাজ্যে মাত্র ৩৫০ থেকে ৪০০টির মতো লাইসেন্সযুক্ত পানীয় জল প্রস্তুতকারী সংস্থা রয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন লোকালয়ে হাজার হাজার অবৈধ ইউনিট গড়ে উঠেছে। পরিশোধন ছাড়াই ২০ লিটারের জার বিক্রি করা হচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক।”
WBPDWMWA-এর আইন ও মিডিয়া সমন্বয়কারী হরিন্দর সিং বলেন, “আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্যগুলির মধ্যে একটি হল, জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং জলবাহিত রোগ এড়াতে নাগরিকদের নির্ণায়ক উপভোক্তা হওয়ার জন্য সচেতন করা।”
WBPDWMWA-এর সচিব নবীন জয়রামকা বলেন, “প্রতিটি ব্যাচের জল পাঠানোর আগে নমুনা পরীক্ষা একান্ত জরুরি এবং তার সাথে সঠিক লেবেলিংও অত্যন্ত জরুরি।” অ্যাসোসিয়েশন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে টাস্কফোর্স গঠনের আবেদন জানিয়েছে।