অষ্টম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে, যোগের সঠিক বোঝাপড়ার সঙ্গে সুস্থ জীবনধারার যে বিশেষ যোগসূত্র রয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরল নেফ্রোকেয়ার ইন্ডিয়া। “স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য যোগ” নামে একটি সেশন শুরু করা হয়েছে। সল্টলেকের গোল্ডেন টিউলিপ হোটেলে 100 জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী এতে যোগ দেন। যোগব্যায়াম অনেক দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ করে। যোগব্যায়ামের নিয়মিত চর্চা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা ধরনের উপকার করে থাকে।
দিনভ চলা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট নেফ্রোলজিস্ট ডাঃ প্রতিম সেনগুপ্ত, মন্ত্র লাইফস্টাইল হেলথ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও ডিরেক্টর শুভব্রত ভট্টাচার্য এবং গোল্ডেন টিউলিপ হোটেলের পরিচালক আশিস মিত্তল সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। ধৌতি ক্রিয়া, অঙ্গ মর্দানা, সূর্য নমস্কার, ধ্যান, ওম জপ এবং প্রাণায়ামের পাশাপাশি হটযোগ, ত্রাতক এবং মৈনাও এই অনুশীলনের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ইভেন্টের মেন্টর চিকিৎসক প্রতিম সেনগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, “যোগ ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্যের একটি অমূল্য সম্পদ। এটি মন এবং শরীরের একতাকে মূর্ত করে, চিন্তা ও কর্মে পরিপূর্ণতা এনে দেয়। যোগ আমাদের জীবনধারা পরিবর্তন করে এবং চেতনা তৈরি করে।”
শুভব্রত ভট্টাচার্য বলেন, “নিয়মিত যোগ অনুশীলন করলে, মানসিক স্বচ্ছতা এবং প্রশান্তি তৈরি করে; শরীরের সচেতনতা বাড়ায়; দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ উপশম করে; মনকে শিথিল করে। যোগব্যায়াম হল সুস্বাস্থ্যের সোনালী চাবিকাঠি এবং সুস্বাস্থ্য হল আসল সম্পদ।”
গোল্ডেন টিউলিপ হোটেলের ডিরেক্টর আশিস মিত্তল বলেন, “বাইরে যা ঘটছে, তা আপনি সবসময় নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। কিন্তু ভিতরে যা ঘটছে তা আপনি সবসময় নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। যোগ হল, নিজের মধ্যে দিয়ে নিজের আত্মনিয়ন্ত্রণ করা।”
২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘে ভাষণ দেওয়ার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২১ জুন তারিখটিকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস বলে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন। সেই বছরই ১১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদ ২১ জুন তারিখটিকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।