নিজস্ব সংবাদদাতা, মধ্যমগ্রাম : রেড জোনের আওতায় থাকা এলাকায় বিধিনিষেধ স্পষ্ট করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু বাস্তবে কতটা মানা হচ্ছে, তা নিয়ে জনমানসে প্রশ্ন উঠেছে? গোটা উত্তর ২৪ পরগনা জেলাকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই জেলায় সংক্রমণের হারও দ্রুত বেড়ে চলেছে। কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫তে।
তৃতীয় দফার লকডাউনে একক দোকান খোলার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ছাড়পত্র মিলেছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, একক মালিকানাধীন নয় এমন অনেক বড় বড় দোকানও খোলা হয়েছে। টোটো বা অটোর মত যান চলাচল পুরোপুরি নিষিদ্ধ। কিন্তু সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যাত্রী নিয়ে মধ্যমগ্রামে যেভাবে অবাধে টোটো চলাচল করছে,তাতে শঙ্কিত এলাকার মানুষ। রাস্তায় মানুষের ভিড়ও অনেক বেড়েছে। সামাজিক দূরত্বও মানা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। তবে যতটা সম্ভব সতর্কতা মেনে চলার চেষ্টা করছেন মধ্যমগ্রামবাসী।
বুধবারই এখানকার ১০ এবং ২৮ নম্বর ওয়ার্ডকে কন্টেইনমেন্ট এলাকার বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে। এই দুটি ওয়ার্ড থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সব ব্যারিকেড। মধ্যমগ্রাম পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল সদস্য নিমাই ঘোষও এই ব্যারিকেড খোলার সময় হাজির ছিলেন। নিমাইবাবু বলেন, জেলাশাসকের কার্যালয় থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরই এই দুটি ওয়ার্ডকে কন্টেইনমেন্ট এলাকার বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে ৫ নম্বর ওয়ার্ড এখনও কন্টেইনমেন্ট এলাকার মধ্যেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন নিমাইবাবু।
তিনি জানান, “গত ২৮ দিন ধরে ওই দুটি ওয়ার্ডে কোনও সংক্রমণ হয়নি। তবে এলাকার মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।”
দোকান খোলা প্রসঙ্গে নিমাইবাবু বলেন, “এ ব্যাপারে পুরসভার কিছু করণীয় নেই। এটি পুলিশ-প্রশাসন দেখছে।” অন্যদিকে মধ্যমগ্রাম থানা জানাচ্ছে, তাদের অনুমতি নিয়েই দোকানগুলি খোলা হয়েছে।
এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ঘিরে মধ্যমগ্রামের মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। কোনও কোনও পোস্টে লেখা হয়েছে, মধ্যমগ্রামের ১০ নম্বর ওয়ার্ডকে গ্রিন জোনে রূপান্তরিত করা হয়েছে।
মধ্যমগ্রামে প্রথম করোনা আক্রান্ত হন ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের এক নার্স। এই ওয়ার্ডেই থাকেন পুরসভার চেয়ারম্যান ও বিধায়ক রথীন ঘোষ। এরপর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং তাঁর গাড়ির চালকও করোনায় আক্রান্ত হন। চালকের বাড়ি ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন আরও একজন। সরকারি হিসেবে, মধ্যমগ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ ।