বিশেষ সংবাদদাতা : করোনা সঙ্কটের মধ্যেই আজকাল পত্রিকায় বেতন কাটার নোটিস দিল কর্তৃপক্ষ। নোটিসে ৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন কাটার কথা বলা হয়েছে। যদিও নোটিসে কোনও সই দেওয়া হয়নি। তবে এভাবে আচমকা বেতন কাটার নোটিসে বেজায় ক্ষিপ্ত কর্মী ইউনিয়ন। সল্টলেকে সেক্টর ফাইভে আজকাল অফিসে পোস্টারও পড়েছে। এই ইস্যুতে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হস্তক্ষেপেরও আর্জি জানানো হয়েছে।
কর্মী ইউনিয়নের অভিযোগ,” রাজ্যের ছোট বড় সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকারি বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকালও প্রচুর সরকারি বিজ্ঞাপন পেয়ে থাকে। আজকালের নাম ভাঙিয়ে ম্যানেজমেন্ট সরকারের কাছ থেকে নানা সুবিধাও আদায় করে থাকে।”
আজকালে ১ শতাংশের বেশি শেয়ার রয়েছে শিল্পপতি সত্যম রায় চৌধুরীর। পদাধিকারবলে তিনিই চেয়ারম্যান। ইউনিয়নের অভিযোগ, “লক্ষাধিক টাকা বেতন দিয়ে প্রায় প্রতি মাসে উচ্চপদে কর্মী নিয়োগ করে চলেছেন সত্যমবাবু। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে দেশবিদেশে নানা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান করছেন। অথচ বেতন বোর্ডের সুপারিশ কার্যকর করছেন না।”
ইউনিয়নের আরও অভিযোগ,” সম্পাদক অশোক দাশগুপ্ত এবং সত্যম রায় চৌধুরী দুজনই আজকালকে অলাভজনক সংস্থা হিসেবে তুলে ধরছেন এবং প্রতিষ্ঠানকে সামনে রেখে বিভিন্ন আইন-বিরুদ্ধ কাজ করে চলেছেন।”
লকডাউনের জেরে কর্মীদের যাতে কর্মচ্যুতি বা বেতন কাটা না হয়, সে ব্যাপারে বেসরকারি সংস্থার মালিকদের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সেই আবেদন আজকাল কর্তৃপক্ষ গ্রাহ্যই করছেন না বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন আজকালের সাংবাদিক-অসাংবাদিক কর্মীরা।
এ ব্যাপারে আজকালের সম্পাদক বা চেয়ারম্যানের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাঁদের প্রতিক্রিয়া পেলে তাও আমরা প্রকাশ করব।