কটু অনিয়মেই অ্যাসিটিডি। সকালের উঠেও বিস্বাদ মুখ। ভারী খাওয়াদাওয়া করলেই চোঁয়া ঢেঁকুর, গলা জ্বালা। এ সমস্যা প্রায় প্রতি ঘরে ঘরেই। চটজলদি এ থেকে দূরে থাকতে হাতের কাছে থাকা প্রচলিত ওষুধেই ভরসা করেন অধিকাংশ মানুষ। এই সব প্রচলিত ওষুধের মধ্যে পিপিআই বা প্রোটন পাম্প ইনহিবিটরের স্থান সবার উপরে। অ্যাসিডের উৎপাদন কমিয়ে সে অম্বলের হাত থেকে শরীরকে বাঁচায়। অন্য কোনও ওষুধের সাধ্য নেই এত গভীরে কাজ করার। তাই অনেকেরই ধারমা, সকালে উঠে এমন একটি ওষুধ খেয়ে নিলেই নিশ্চিন্ত। এরপর যত অনিয়ম হোক না কেন, ভয় নেই!
চাই সঠিক জীবনযাপন
- ধাত থাকলে চর্বিসমৃদ্ধ খাবার, মিষ্টি, দুধ, কফি, শুকনো লঙ্কা, গোলমরিচ, টক, খুব ঠান্ডা/গরম খাবারে অম্বল হতে পারে৷ কী ধরনের খাবারে এমনটা হয়, তা খেয়াল করুন। নিয়মিত ডায়েট থেকে বাদ দিন সে সব।
- অম্বলের ঠেকাতে ওজন ও ভুঁড়ি কমান আগে৷ শরীরচর্চা করুন। খাওয়ার ঘণ্টা দুয়েক বাদে শুতে যান৷
- খালি পেটে চা নয়। লেবু চা ও গ্রিন টি খেলেও কষ্ট বাড়তে পারে৷
- দু’টি মূল খাবারের মাঝে ৪–৫ ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন৷ ঠিক রাখুন খাওয়া–ঘুমের সময়৷
- পেটের কাছে এঁটে বসে থাকে এমন পোশাক না পরাই ভাল৷
- প্রতি দিনের ওষুধে অম্বলের কষ্ট বাড়ার সম্ভাবনা আছে কি না এবং থাকলে কী করণীয় সেই পরামর্শ চিকিৎসকের কাছ থেকে নিন।
- সিগারেট ও মদে সমস্যা বাড়ে৷ মদ্যপান ও ধূমপান দুই-ই ছেড়ে দিতে পারলে ভাল।
- ব্যথার ওষুধ থেকেও অম্বলের সমস্যা বাড়ে। কথায় কথায় ব্যথার ওষুধ না খেয়ে যে কারণে ব্যথা হচ্ছে তার চিকিৎসা করান।