নিজস্ব প্রতিনিধি, সাগর : এলাকায় তাঁর পরিচিতি কাজের মানুষ হিসেবেই। রাজ্যে করোনার দাপাদাপির মধ্যে তাঁর ছোটাছুটিও যেন বেড়ে গিয়েছে। কখনও মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছেন ত্রাণ। আবার কখনও অভুক্ত পথ কুকুরদের মুখে তুলে দিচ্ছেন খাবার। এখন এভাবেই নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন সাগরের বিধায়ক শিক্ষক বঙ্কিম হাজরা।
পৌষ সংক্রান্তিতে সাগরে পুণ্যস্নান আর কপিলমুনির মন্দির দর্শনের জন্য ভিড় করেন দেশের নানা প্রান্তের লক্ষ লক্ষ মানুষ। এখন অবশ্য সাগর শুনশান। করোনার কারণে ভিড় নেই পর্যটকদেরও।
তবে কপিলমুনির চত্বরে সায়মেয়কুলের আনাগোনা বন্ধ হয়নি। মন্দির এবং সাগরতট মিলিয়ে এখানে রয়েছে কমপক্ষে দেড়শোর মত কুকুর। করোনার গ্রাসে মানুষের পাশাপাশি বিপন্ন এই সারমেয়রাও। কপিলমুনির মন্দিরে আগত ভক্তদের প্রসাদ পাওয়া কয়েকশো সারমেয়র খাবারেও টান পড়েছে। কারণ মন্দির বন্ধ। বন্ধ ভক্তদের আসা যাওয়া। এই কুকুরদের জুটছে না কোনও খাবার। তাই এই অবলা জীবদের জন্য নিয়মিত খাবারের ব্যবস্থা করেছেন বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা। প্রতিদিন নিজের হাতেই খাওয়াচ্ছেন এই কুকুরদের।
বঙ্কিমবাবু বলেন,” প্রথম দিকে মুড়ি ও বিস্কুট দিয়েছিলাম। এখন অবশ্য রান্না করা খাবার দিচ্ছি। আসল কথা এদের সেবার ভিতর দিয়ে ঈশ্বরের অস্তিত্ব অনুভব করছি। মনে হয় তিনি আমার ভিতর দিয়ে এইসব অবলা প্রাণের আহারের ব্যবস্থা করালেন।” জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর, স্বামীজির এই বাণীকেই জীবনের ব্রত করে নিয়েছেন বঙ্কিমবাবু।
এই এলাকায় একটা বড় অংশের মানুষ অত্যন্ত গরিব। তাই তাঁদের জন্য ত্রাণেরও ব্যবস্থা করেছেন বঙ্কিমবাবু। রয়েছেন মন্দিরের সাধুরাও। সারা বছর তিনি মানুষের পাশেই থাকেন। তবে এখন চ্যালেঞ্জটা একটু অন্যরকমের। কারণ, করোনার এই সঙ্কট কবে মিটবে,তা জানা নেই কারোরই।