হীরক কর : বুধবার কলকাতা পুরনিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর শীর্ষে বসলেন বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। প্রশাসকমণ্ডলীতে রয়েছেন আরও ১৩ জন মেয়র পারিষদ।
বুধবার রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা পুর আইন অনুযায়ী কোনও বোর্ড পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার সেই মেয়াদ হচ্ছে বর্তমান বোর্ডের। সেজন্য করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোটের আয়োজন করতে পারবে কিনা, জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা সম্ভবপর নয় বলে জানানো হয়েছে।
সেজন্য রোগ মোকাবিলা, জরুরি পরিষেবা ও পুরসভার দৈনন্দিন কাজ চালানোর কলকাতা পুর আইনের ৬৩৪ ধারার আওতায় একটি প্রশাসক মণ্ডলী গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার । বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ৬৩৪ ধারা অনুযায়ী কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের সেই ক্ষমতা রয়েছে।
নয়া প্রশাসকমণ্ডলীতে ১৪ জন সদস্য রয়েছেন। শীর্ষে রয়েছেন বর্তমান বোর্ডের মেয়র ফিরহাদ। প্রশাসক পদে বসানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। ফিরহাদ ছাড়াও প্রশাসকমণ্ডলীতে রয়েছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, দেবব্রত মজুমদার, দেবাশিস কুমার, মঞ্জর ইকবাল, শামসুজ্জামান আনসারি, তারক সিং, ইন্দ্রাণী সাহা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বপন সমাদ্দার, আমিরুদ্দিন, রতন দে, রাম পেয়ারি রাম, অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় এবং বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। তাঁরা প্রত্যেকই বর্তমান বোর্ডের মেয়র পারিষদ।
শুক্রবার এই প্রশাসক মণ্ডলীর প্রথম বৈঠক হবে। নির্বাচন জিতে কোনও বোর্ড ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত প্রশাসক মণ্ডলী কাজ চালাবে বলে জানানো হয়েছে।
তবে পুরনিগমের কাউন্সিলরদের ভূমিকা এবার কী হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, তাঁরা এলাকায় পুরনিগমের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবেন। তবে সে বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, প্রথম বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।
এদিকে, ভোট না করিয়ে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিকে প্রশাসক পদে বসানোর তীব্র নিন্দা করেছে সিপিআই(এম)। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, এটা সংবিধানের মূল ভিত্তির বিরোধী। দলবাজি চলছে। অন্যদিকে, আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।