নিউজ ডেস্ক : একটানা লকডাউনে ঘরে বসে হাঁপিয়ে উঠেছেন দেশবাসী। লকডাউন বিধির তোয়াক্কা না করে অনেকেই বেরিয়ে পড়ছেন রাস্তায়। ভারতে এই লকডাউন শেষ হচ্ছে ১৪ এপ্রিল। এর পরেও কি লকডাউনের সম্ভাবনা রয়েছে? থাকলে কতদিন চলতে পারে সেই লকডাউন? কী বলছে হু-র নির্দেশিকা?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-র বিধি অনুযায়ী, প্রথমে একদিনের ট্রায়াল এবং তারপর ২১ দিনের লকডাউন। ২২ মার্চ ‘জনতা কার্ফু’র মধ্যে দিয়ে ট্রায়াল লকডাউনের সূচনা হয়েছিল ভারতে। এটাই লকডাউনের প্রথম ধাপ। এরপর ২৫ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ধাপ। ২১ দিনের এই লকডাউন শেষ হচ্ছে ১৪ এপ্রিল। এরপর পাঁচদিনের বিরতি দিয়ে তৃতীয় পর্বের লকডাউন। এর মেয়াদ ২৮ দিনের। এরপর আবার ৫ দিনের বিরতি দিয়ে ১৫ দিনের লকডাউন।
প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর ১৫ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত সাময়িক ছাড়। তারপর দ্বিতীয় ধাপে ২০ এপ্রিল থেকে ১৮ মে পর্যন্ত টানা ২৮ দিনের লকডাউন হতে পারে। এরপর ১৯ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত ৫ দিনের বিরতি। এই সময়ের মধ্যে করোনা বা কোভিড১৯ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা যদি শূন্যে নেমে আসে, তবে লকডাউন একেবারে তুলে নিতে পারে কেন্দ্র। নতুবা মে মাসের ২৫ তারিখ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ১৫ দিনের জন্য চূড়ান্ত লকডাউন জারি করা হতে পারে।
কতদিন পর্যন্ত ভারতে এই লকডাউন বহাল থাকবে, তার পুরোটাই নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। ভারতে এখন দ্বিতীয় পর্বের লকডাউন চলছে। এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তার ওপর নিজামুদ্দিনের জমায়েত থেকে সংক্রমণ কেন্দ্রের চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই ১৯ এপ্রিলের মধ্যে রোগ কতটা নিয়ন্ত্রণে আসবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে,২০ এপ্রিল থেকে ২৮ দিনের লকডাউনের পথে যেতে পারে কেন্দ্র। তারপর তা বেড়ে ১০ জুন পর্যন্ত গড়াতে পারে।
লকডাউন নিয়ে হু-র নিয়মবিধি
প্রথম ধাপ : ১ দিনের
দ্বিতীয় ধাপ : ২১ দিনের
৫ দিনের বিরতি
তৃতীয় ধাপ : ২৮ দিনের
৫ দিনের বিরতি
চতুর্থ ধাপ : ১৫ দিনের
ভারতে লকডাউন
২২ মার্চ : জনতা কার্ফু (ট্রায়াল লকডাউন)
২৫ মার্চ-১৪ এপ্রিল : দ্বিতীয় ধাপ
১৫-১৯ এপ্রিল : ৫ দিনের বিরতি
২০ এপ্রিল-১৮মে : ২৮ দিন (তৃতীয় পর্ব)
আক্রান্ত শূন্যে নেমে এলে লকডাউন প্রত্যাহার,
অন্যথায়
১৯-২৪ মে : ৫ দিনের বিরতি
২৫ মে-১০ জুন : ১৫ দিন (চূড়ান্ত লকডাউন)