রাজ্যে প্রথম করোনা-মৃত্যু ঘিরে অশান্তি। সোমবার দুপুর ৫৭ বছরের ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। কিন্তু তারপর থেকে নানা জটিলতা শুরু হয় তাঁর দেহ সৎকার নিয়ে। প্রথমত ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁর দেহ নেওয়ার মতো কোনও আত্মীয়েরই সন্ধান মেলেনি। কারণ মৃতের স্ত্রীও করোনা ভাইরাসে (Covid-19) আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতাল ভর্তি রয়েছেন। কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে একটি শববাহী গাড়িতে করে বিধাননগর পুলিশের সহায়তায় এবং কলকাতা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে রাতে নিমতলা মহাশ্মশানে পৌঁছয় ওই ব্যক্তির দেহ। কিন্তু শ্মশানে পৌঁছনোর পরেও আরেক বিপত্তি। সংক্রমিত ব্যক্তিকে কেন ওই এলাকা দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে এই যুক্তিতে নিমতলা এলাকার স্থানীয়রা দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়।
স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, একে তো মরদেহ হস্তান্তর করতে দীর্ঘ সময় লাগে। তার উপর আবার শ্মশানে দাহকার্য নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়। সব মিলিয়ে দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখা হয় করোনা ভাইরাসে মৃত ওই ব্যক্তির দেহটি।
এদিকে দেশে ক্রমেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সোমবার দু’জনের মৃত্যু হয়েছে করোনার আক্রমণে, তার মধ্যে একজন পশ্চিমবঙ্গের এবং অন্যজন হিমাচল প্রদেশের।