সঞ্জয় বসাক, জগন্নাথ ভক্ত
জগন্নাথ পুরীর আরেক নাম হল ‘শ্রীক্ষেত্র’। শ্রী শব্দের অর্থ শ্রীদেবী বা লক্ষ্মীদেবী, যিনি ভগবান শ্রীবিষ্ণুর স্বরূপশক্তি। যে ভূমি খন্ড শ্রীশক্তির প্রভাবান্বিত, সেই ক্ষেত্র শ্রীক্ষেত্র নামে প্রসিদ্ধ। শ্রীদেবী শ্রীমতি রাধারাণীর অংশপ্রকাশ। যেসব ভক্তগণ মাধুর্য রসাশ্রিত, মাধুর্য রসে যাঁরা ভগবানের আরাধনা করেন, তাঁদের মতানুসারে এ ক্ষেত্র সর্বোচ্চ স্তরে সেবাভাব প্রকটিত করেছে মাধুর্য এবং ঔদার্য।
বর্গী হনুমান :
জগন্নাথ মন্দিরের পশ্চিম দিকে লোকনাথ রোডে বর্গী হনুমান মন্দির অবস্থিত। পূর্বে বর্গীরা (মহারাষ্ট্রের এক জনজাতি) এই পথ দিয়ে ঘোড়ায় চড়ে যেত। এর ফলে শ্রীমন্দিরে ও পুরীর মানুষদের মধ্যে বিঘ্ন সৃষ্টি হত। এই বর্গীরা হনুমানের ভক্ত, সেজন্য তাদের পুরী প্রবেশ বন্ধ করতে এই অঞ্চলে একটি হনুমান মূর্তি মন্দিরে স্থাপন করা হয়। বর্গীরা হনুমান মূর্তি অতিক্রম করে যেতে অনিচ্ছুক ছিল, সেজন্য এইভাবে মহারাষ্ট্রের দুর্ধর্ষ বর্গীদের আক্রমণ থেকে পুরী রক্ষা পেয়েছিল।
আগামী পর্বে থাকছে পুরীতে দরিয়া হনুমান। অনুগ্রহ করে আপনারা নিয়মিত শ্রী জগন্নাথ লীলা মহিমা পাঠ করে জগন্নাথের কৃপা লাভ করুন এবং শেয়ার করে অন্যকেও জানতে সাহায্য করুন।
চলবে……