বিশ্বজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনা। ইউরোপ সহ বহু দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। সেখানে ফের লকডাউন জারি করতে হয়েছে। বিভিন্ন ভ্যাকসিন নিয়ে ট্রায়াল চলছে ঠিকই। কিন্তু বাজারে কবে টিকা মিলবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে এর মধ্যেই এই ব্যাধি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে একটি তথ্যসমৃদ্ধ বই লিখে ফেলেছেন বিশিষ্ট গবেষক, শিক্ষাবিদ এবং কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ড. গৌতম পাল।
“কোভিড-১৯ ও জনস্বাস্থ্য” বইটিতে বহু অজানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেছেন তিনি। কোভিডের উৎপত্তি থেকে শুরু করে এই রোগের সংক্রমণ, নানা উপসর্গ, রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা পদ্ধতি, সবকিছু নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করেছেন ড. পাল। ১৮২ পাতার বইটিতে সব মিলিয়ে রয়েছে ১৫টি অধ্যায়।
যে করোনার ভয়ে গোটা দুনিয়া কাঁপছে, তার প্রথম প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল চিনেই। ১৯৬০ সালে। অর্থাৎ আজ থেকে ৬০ বছর আগে। তবে তখন এই ভাইরাস আজকের মতো প্রাণঘাতী ছিল না। ২০১২ সালেও করোনা মহামারীর আকারে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে এর এপিসেন্টার ছিল দুটি দেশ, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী।
বিশিষ্ট গবেষক গৌতম পালের মতে, ধীরে ধীরে এই রোগের তীব্রতা কমে আসবে। তবে এর জন্য ২ থেকে ৫ বছর সময় লাগতে পারে। এই অবস্থায় সতর্কতাই একমাত্র পথ বলে মনে করেন তিনি।
বইটিকে স্কুলের পাঠ্যপুস্তকের অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। তাতে সামগ্রিকভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা আরও বাড়বে, এমনটাই মনে করছেন লেখক।
বইটি প্রকাশ করেছে এই শহরের ঐতিহ্যবাহী প্রকাশনা সংস্থা দাশগুপ্ত অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড।
কোভিড-১৯ ও জনস্বাস্থ্য ।। দাম : ১৭৫ টাকা।