সিবিআই অফিসার পরিচয়ে তোলাবাজি ও অপহরণে অভিযুক্ত রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিক অভিষেক সেনগুপ্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি থেকে অভিষেক এবং তার ঘনিষ্ঠ স্বরূপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। ট্রানজিট রিমান্ডে তাদের নিয়ে আসা হচ্ছে। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিষেককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এই ঘটনায় আজ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরা হল, অনির্বাণ কাঞ্জিলাল, অর্ঘ সেনগুপ্ত, রাজু মণ্ডল, জুলফিকার আলি এবং আসরফ আলি। প্রথম তিনজন দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। শেষের ২ জনের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার শাসন এলাকায়।
আগেই স্বরূপ রায় ও প্রতীক সরকার নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, এঁরা দুজনেই সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে অজিত রায় নামে কসবার এক ব্যবসায়ীকে নিজাম প্যালেসে তুলে এনেছিল। অন্যদিকে, নিজাম প্যালেসের নীচে সিবিআই অফিসার সেজে অপহৃতকে ভয় দেখাচ্ছিল অভিষেক। অপহরণে ব্যবহৃত গাড়ির চালক রাজেশ অধিকারীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার কসবার বাসিন্দা সুইটি নাথ রায় থানায় অভিযোগ করেন, সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে কয়েকজন লোক তাঁর স্বামী অজিত রায়কে তুলে নিয়ে গেছে। এরপর ২ কোটি দাবি করে তারা ফোন করতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ১৫ লাখ টাকায় রফা হয়। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) মুরলীধর শর্মা জানান, অপহৃতের এক বন্ধু ওই টাকা পৌঁছে দেওয়ার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এর সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। অর্ণব গোস্বামীর রিপাবলিক বাংলা বিজেপি ঘেঁষা চ্যানেল হিসেবে পরিচিত। টিআরপি কেলেঙ্কারিতে এর আগে অর্ণবকে গ্রেফতার করেছিল মুম্বই পুলিশ। এবার বাংলায়ও এই চ্যানেলের এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠল।
পুলিশ সূত্রে খবর, আরও বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এভাবেই ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায় করেছে অভিষেক এবং তার সঙ্গীরা। এর আগে কলকাতার দুটি নামি চ্যানেলের সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীদের থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগ উঠেছিল।