রাজ্যে হৃদযন্ত্রের চিকিৎসায় একেবারে সামনের সারিতে রয়েছে দক্ষিণ কলকাতার বি এম বিড়লা হার্ট রিসার্চ সেন্টার। শুধুমাত্র পরিণত বয়স্করা নন, শিশুদের হার্টের জটিল অপারেশন এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রেও বিশেষ নজির গড়েছে এই বেসরকারি হাসপাতাল।
জটিল অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে ওঠা কয়েকজন শিশুকে বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের সামনে পেশ করেন হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা। এদের মধ্যে আড়াই মাস বয়সে অপারেশন হওয়া শিশু যেমন ছিল, তেমনই ছিল ১২-১৩ বছরের কিশোররাও। তাঁদের সন্তানদের কোন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল, কীভাবে তারা সুস্থ হয়ে উঠল, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানান অভিভাবকরা।
সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন মনোজ দাগা, শুভেন্দু মণ্ডল, রতন কুমার দাশ, অনিল মিশ্রের মতো কার্ডিয়াক সার্জেনরা। বিশিষ্ট এই চিকিৎসকরা বলেন, “জন্মের সময় শিশুর হৃদযন্ত্রে গোলমাল থাকলে, পরবর্তীকালে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে, হার্টের প্রকোষ্ঠে ফুটো থাকা, রক্তনালীতে ত্রুটি এবং ভালভ-এর সমস্যা। এর ফলে যে লক্ষণগুলো দেখা দেয়, তা হল, দ্রুত হৃদস্পন্দন, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস, অল্পেতেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, খেলাধুলা করতে না পারা, চোখ, তলপেটে ঘাম প্রভৃতি।”
শিশুদের হার্টের জন্মগত এই সমস্যাগুলি তাড়াতাড়ি চিহ্নিত করা সম্ভব হলে, চিকিৎসায় অনেক বেশি সাফল্য পাওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন উপস্থিত চিকিৎসকরা।
অনুষ্ঠানে সি কে বিড়লা হাসপাতালের সিইও ডাঃ সিমরদীপ গিল (Simmardeep Gill) বলেন, “সব ধরনের হৃদরোগের চিকিৎসার একমাত্র গন্তব্য হয়ে উঠেছে বি এম বিড়লা হার্ট রিসার্চ সেন্টার। সময়ের সঙ্গে তাল রেখে হাসপাতালের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে।” হৃদরোগের মোকাবিলায় তিনি নিয়মিত চেক-আপের পরামর্শ দেন।
৩২ বছর আগে বি এম বিড়লা হার্ট রিসার্চ সেন্টারের যাত্রা শুরু হয়েছিল। এটি পূর্ব ভারতের প্রথম ও একমাত্র কার্ডিয়াক হাসপাতাল। সুপার স্পেশালিটি ক্যাটাগরিতে এই হাসপাতাল পূর্ব ভারতে প্রথম এবং দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে।