অতিমারীর মধ্যে শিক্ষা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের নজির গড়েছে রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন। কেন্দ্রীয় সরকার ২০২০ সালের জন্য দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলির যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে মিশনের বিজ্ঞান ও কলা বিষয়ক ৪টি প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য স্থান পেয়েছে। এগুলি হল, নরেন্দ্রপুর (২০তম), রহড়া (১১তম), সারদাপীঠ (বেলুড়, ৭ম) এবং কোয়েম্বাটুর মিশন (৬৫ তম)।
রবিবার বেলুড়ে রামকৃষ্ণ মিশনের ১১২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০২০-২১ বর্ষের কার্যবিবরণী পেশ করেন রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ।
তিনি জানান, ওই বছর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন ৫৩৯টি স্কুল-কলেজ এবং ১০৫৬টি প্রথা বহির্ভূত শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে ২,৩১, ৮৬৮ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদান করেছে। এছাড়া রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ১৪টি হাসপাতালে ৭২ হাজারেরও বেশি রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছে।
করোনা অতিমারীতে মিশনের ত্রাণকার্যে সাড়ে ৪ লক্ষেরও পরিবার উপকৃত হয়েছে। মিশনের প্রধান কেন্দ্র এবং ১২৭টি শাখা কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশের ২৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিলি করা হয়েছে।
শুধু দেশ নয়, বিদেশের মাটিতেও করোনা কালে আর্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে মিশন। বাংলাদেশ, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জাম্বিয়ায় মিশনের পক্ষ থেকে অসহায় মানুষকে সাহায্য করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্বের ২৩টি দেশে ছড়িয়ে থাকা ৬৫টি শাখা কেন্দ্রের মাধ্যমে চিকিৎসা, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, কল্যাণমূলক ও আধ্যাত্মিক পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে।