ট্রেন বন্ধ রেখেও রাজ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। বৃহস্পতিবারের হিসেব অনুযায়ী, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গেছে প্রায় ২১ হাজারে। এর মধ্যে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায়। এই দুই জেলায় মৃত্যুর হারও বেশি। দুটি জেলাতেই প্রতিদিন গড়ে ৪ হাজারের মতো মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
আইসিএমআর সবচেয়ে বেশি সংক্রামিত জেলাগুলিতে লকডাউনের পক্ষে মত দিয়েছে। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, কর্নাটকের মতো রাজ্যগুলি ইতিমধ্যে লকডাউনের পথে হেঁটেছে। প্রশ্ন উঠেছে, এবার কি পশ্চিমবঙ্গও সে পথে হাঁটবে? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্য সরকার লকডাউনের পক্ষে নয়। তবে তিনি চান, করোনার বিধিনিষেধগুলি রাজ্যবাসী কঠোরভাবে মেনে চলুক।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনেও খুব একটা কাজ হচ্ছে না। এখনও অনেকের মধ্যে বেপরোয়া মনোভাব দেখা যাচ্ছে। তাঁরা মাস্ক না পরেই রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পাশাপাশি ট্রেন বন্ধ থাকায় বাসে বাদুড়ঝোলা হয়ে অনেকে অফিস যেতে বাধ্য হচ্ছেন। বেসরকারি সংস্থাগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মী হাজিরার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তা ঠিকভাবে মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় কিছুদিনের জন্য লকডাউন জারির সিদ্ধান্ত নিতে পারে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে এমনই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবারের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০, ৮৩৯ জন। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় ৪,১৩১ জন এবং কলকাতায় ৩,৯২৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন।
এছাড়া হাওড়ায় ১,২৭৬, হুগলি ১,২৩৬ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা ১,২৩২ জন একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্য জেলাগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের নীচে।
বৃহস্পতিবার রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২৯ জনের। এর মধ্যে কলকাতায় ৩৯ জন এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ২৫ জন মারা গেছেন। এ পর্যন্ত বাংলায় মোট করোনার বলি হয়েছেন ১২ হাজার ৮৫৭ জন।