রাজ্যে ৯০ ডেসিবেলের বেশি শব্দ হয়, এমন কোনও বাজি তৈরি করা বা ফাটানো যাবে না। শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তিনি বলেন, এ ধরনের বাজি যাতে তৈরি না হয়, সে ব্যাপারে প্রশাসন কড়া নজরদারি চালাবে। এই নজরদারির কাজে নোডাল অফিসারের ভূমিকা পালন করবেন জেলাশাসকরা।
মানসবাবু সাফ জানিয়ে দেন, পুরনো বাজি আর নয়, শুধুমাত্র নতুন সবুজের বাজি ব্যবহার করা যাবে। তিনি বলেন, “বছরভর নানা উৎসব হবে। কিন্তু মানুষের কষ্ট হোক, তা চাই না।”
পরিবেশ মন্ত্রী জানান, “সবুজ বাজি তৈরির জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একটি ক্লাস্টার তৈরি করা হবে। এটি থাকবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের অধীনে। এখানে লাইসেন্স থেকে শুরু করে অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয়, সেজন্য ‘এক জানালা নীতি’ প্রণয়ন করা হচ্ছে।”
মন্ত্রীর কথায়, বাজি পরীক্ষার জন্য বাজি নির্মাতাদের আর শিবকাশী বা রাজ্যের বাইরে অন্য কোথাও ছুটতে হবে না। কলকাতাতেই গড়ে তোলা হবে টেস্টিং ল্যাব বা পরীক্ষাগার। এ ব্যাপারে ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা নিরির পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত মিলেছে বলে জানিয়েছেন মানসবাবু।
আজ সল্টলেকে পরিবেশ ভবনে বাজি ব্যবসায়ী ও সমিতির সঙ্গে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মানসবাবু। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন, রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান ডঃ কল্যাণ রুদ্র, পর্ষদের সদস্য সচিব ডঃ রাজেশ কুমার সহ পরিবেশ দফতরের শীর্ষ পদাধিকারীরা।
বাজির লাইসেন্স প্রসঙ্গে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, বাজির লাইসেন্স দেওয়ার কোনও এক্তিয়ার তাঁর দফতরের নেই। দমকল দফতর শুধুমাত্র ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ দিতে পারে।