কানে কম শুনছেন? তবে অবহেলা নয়, দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন, বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তাঁদের মতে, বধিরতা মানে শুধুমাত্র শ্রবণশক্তির সমস্যা নয়, তা থেকে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের জটিল রোগ।
সোমবার ছিল বিশ্ব শ্রবণ দিবস। এই উপলক্ষে কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে দুই বিশিষ্ট ইএনটি বিশেষজ্ঞ অমিতাভ রায় চৌধুরী এবং স্নেহাশিস বর্মন বলেন, “বেশি বয়সে অনেকে বার্ধক্যজনিত কারণে কানে কম শোনেন। কিন্তু সন্তানের শোনার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা আছে কিনা, জন্মের পর থেকেই সেদিকে নজর দেওয়া উচিত অভিভাবকদের।”
তাঁদের কথায়, “শিশুর কোনও বধিরতা আছে কিনা, থাকলে তা কী ধরনের বধিরতা, জন্মের ৩ মাসের মধ্যেই তা চিহ্নিত করা প্রয়োজন এবং ৬ মাসের মধ্যে অবশ্যই চিকিৎসা শুরু করতে হবে। সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে, শ্রবণজনিত সমস্যা থেকে পুরোপুরি না হলেও, অনেকটা সেরে ওঠা সম্ভব।”
শিশুদের বধিরতা নিয়ে অভিভাবকদের সচেতন করে করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘অন্বেষা’।
সংগঠনের সভানেত্রী স্নিগ্ধা সরকার বলেন, “লড়াইটা একাই শুরু করেছিলাম। এখন পাশে পেয়েছি অনেক অভিভাবককে।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে ৪৬৬ মিলিয়ন মানুষ কানের সমস্যায় ভুগছেন। এর মধ্যে ৭ শতাংশ (৩৪ মিলিয়ন) শিশু। ২০৫০ সালের মধ্যে ৯০০ মিলিয়নে পৌঁছে যাবে।
হু সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এখনই সাবধান না হলে, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪ জনের মধ্যে একজন বধিরতার শিকার হবেন।