(CRIME REPORTER: – এই পর্বে শোনানো হবে নানান অপরাধ কাহিনী। বিভিন্ন রহস্যজনক ঘটনার নেপথ্য কাহিনী। বিখ্যাত গোয়েন্দা এজেন্সিগুলোর তদন্তের রোমহর্ষক গল্প। বিভিন্ন দেশের গুপ্তচর সংস্থাগুলোর গোপনে খবর সংগ্রহের গল্প আড্ডার মত করে উঠে আসবে বিশিষ্ট সাংবাদিক হীরক কর -এর কলমে।)
হীরক কর : সাল ২০০৭। ১৩ বছর আগের কাশ্মীর। কাশ্মীর উপত্যকায় শ্রীনগরের কাছে শোপুর। শ্রীনগর থেকে পঞ্চান্ন কিলোমিটার। সাতাশ বছরের এক মহিলা। বিয়ে করাই তাঁর নেশা। পেশা পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর জওয়ানকে বিয়ে করা। এবং স্বামীকে খুন করে ক্ষতিপূরণ আদায় করা। নেশা, পেশা, খুনকে কেন্দ্র করেই এই কাহিনী।
উত্তর কাশ্মীরের হান্দওয়ারার শোপুরে এক মহিলা থাকতেন, নাম মৌহিনা বেগম। খুব সুন্দরী, মনোমুগ্ধকর। লেখাপড়া জানা মহিলা। ২০০৭-এর শুরুতেই মৌহিনার বিবাহ হয়ে যায়। তার বাড়ির লোক এবং মৌহিনার স্বপ্ন ছিল, কোনও পুলিশ বা আর্মি জওয়ানের সঙ্গে বিয়ে হোক। তাই কাশ্মীরে কর্তব্যরত এক সেনা জওয়ান তারিক আহমেদ শেখের সঙ্গে মৌহিনার সম্বন্ধ হয়। তিনি জম্মু এবং কাশ্মীরের লাইট ইনফ্যান্ট্রির জওয়ান ছিলেন। আশীর্বাদ হয়। তারপর বিয়ের তারিখ স্থির করা হয়। বিবাহ অনুষ্ঠানের ভিডিও করা হয়। এতে দুটো পরিবারই খুশি ছিলেন। মৌহিনা ও তারিক বিবাহিত জীবন যাপন করতে থাকেন।
বিয়ের তিন বছর পরে আচমকা একদিন শোপুরে সন্ধেয় আধা আঁধারিতে তারিক বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু, আর ফেরেননি। সময়টা ২০০৭ জানুয়ারি। পুলিশ খানাতল্লাশি শুরু করলে শোপুরের একটি নির্জন জায়গায় তারিকের লাশ পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকেরা সনাক্ত করেন। বাড়িতে কান্নাকাটি শুরু হয়ে যায়। সবার সহানুভূতি আছড়ে পড়ে মৌহিনার ওপর। কারণ বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই সে বিধবা হয়ে যায়।
পুলিশ খুনের তদন্ত শুরু করে। জানা যায়, তারিককে একে ফরটিসেভেন দিয়ে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছে। সেই সময় থানায় খুব কম ঘটনা রিপোর্ট করা হতো। আতঙ্কবাদী হামলা ছাড়া অন্য কোনো অপরাধ নিয়ে কেউই জেনারেল ডায়েরি করতে থানায় আসতেন না। সারা ভারতে সাধারণ সমস্ত থানার চেয়ে কাশ্মীরের থানাগুলোতে কাজের চাপ খুব বেশি ছিল না। এমন অনেক পুলিশ স্টেশন আছে যেখানে বছরের পর বছর অপরাধের কোনো মামলা রুজু হয়নি। কারণ কেউ অভিযোগ জানাতেই যায়নি।
কিন্তু এই ঘটনা একজন সেনা জওয়ান খুনের মামলা ছিল। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, একে-৪৭ থেকে গুলি করে তাঁকে খুন করা হয়েছে। একজন সেনা জওয়ানকে একে 47 থেকে খুন করতে পারে কে ? সরাসরি জবাব ছিল, আতঙ্কবাদীরা। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ বিস্তারিত তদন্ত করে। রিপোর্ট দাখিল করে। রিপোর্টে বলে, কয়েকজন আতঙ্কবাদী তারিককে একে ফর্টিসেভেন থেকে গুলি করে। এবং তাকে খুন করে। সেনা, সীমান্ত, আতঙ্কবাদীদের মধ্যেই এই রিপোর্টের বিষয়বস্তু ঘোরাফেরা করতে থাকে।
জম্মু কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্র দফতরে এই রিপোর্ট যায়। সেনার নিয়ম অনুযায়ী, জম্মু কাশ্মীরের জঙ্গিদের মোকাবিলা করতে গিয়ে যদি কেউ মারা যায়, তাহলে তাকে মোটা রকম ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী, তারিকের মৃত্যুর জন্য মৌহিনাকে সেনার পক্ষে জম্মু-কাশ্মীর সরকারের তরফে ১৩ লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হয়। রাজ্য সরকার দেয় আরও দু’লক্ষ টাকা ।
সবে যার বিয়ে হয়েছে সে যখন বিধবা হয়ে যায় ১৩ লক্ষ টাকা তার শোক দূর করতে পারে না। কিন্তু জীবন গড়াতেই থাকে। মৌহিনাকেও স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করতে হয়। তাই তাকে মোটা টাকা দিয়ে সাহায্য করে সরকার।
জীবনের রেললাইনে মৌহিনার আবার দৌড় শুরু হয়। তার বাবা-মা বলেন, কতইবা তোমার বয়স। দ্বিতীয়বার বিয়ে করো। তোমার সারা জীবন পড়ে আছে।
এর পর ফের মৌহিনার জন্য পাত্রের খোঁজ চলতে থাকে। প্রায় তিন মাস পর এই খোঁজ শেষ হয়। মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের এক জওয়ানের সন্ধান পাওয়া যায়। যার নাম, তসবির মালিক। কিন্তু খোঁজ করার কোনো দরকারই ছিল না। কেননা, তারিক বেঁচে থাকতেই মৌহিনা তসবির মালিকের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে গিয়েছিলেন। তসবির বিবাহিত ছিল । প্রথম পক্ষে তার একটি এক বছরের পুত্র সন্তান ছিল। তসবিরও সেনাবাহিনীর লোক। বাইশ রাজস্থান রাইফেলসের।
মৌহিনা সব কথা তাঁর বাবাকে বলেন। মৌহিনা এবং তসবির মালিকের পরিবারের লোকেরা মোলাকাত করেন। তসবিরের বাড়ির লোকেরা জানতে পারেন, এর আগে মৌহিনার বিয়ে হয়েছিল তারিকের সঙ্গে। কিন্তু প্রথম স্বামী আতঙ্কবাদীদের হাতে মারা যায়। যেহেতু মৌহিনা শিক্ষিত সুন্দরী ছিলেন সেহেতু তাসবিরের বাড়ির লোকেরা এই বিয়েতে রাজি হয়ে যান। মৌহিনা ও তসবির মালিকের বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পরে দুজনের জীবন ঠিকঠাকই চলতে থাকে। দুই তিন মাস এরকম চলে।
চলে আসে ২০০৭-এর ডিসেম্বর। দ্বিতীয় বিয়ের তিন থেকে চার মাসের মধ্যে হঠাৎ ঠিক তারিকের মত তসবিরের লাশ পাওয়া যায়। তসবিরের মৃতদেহেও গুলির চিহ্ন ছিল। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট থেকে জানা যায়, তসবীর মালিককেও ak47 থেকে গুলি করা হয়েছে। কাশ্মীর উপত্যকায় একে ফরটিসেভেন মানেই তা একমাত্র জঙ্গিদের কাছেই থাকবে। কারণ সাধারণ মানুষ এটা রাখতে পারে না। ধরা পড়লে আর্মস অ্যাক্টে অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের মতো জেল হবে। তাই একে ফরটি সেভেন নিজের কাছে রাখলে সেটা একটা বড় অপরাধ। আর কাশ্মীর উপত্যকায় একে ফরটিসেভেন মানেই হচ্ছে সীমান্তের ওপার থেকে আতঙ্কবাদিরা এসে হামলা চালিয়েছে।
যাই হোক, প্রথমে একে ফরটিসেভেন থেকে প্রথম স্বামী তারিকের মৃত্যু। দ্বিতীয়বার একইভাবে দ্বিতীয় স্বামী তসবির মালিকের মৃত্যু। আগের বারের মত এবারও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ তদন্ত করে এই খুনের তল খুঁজে পায় না। সরাসরি বলে দেয়, আতঙ্কবাদী হামলাতেই তসবির মালিক খুন হয়েছেন। তারিক কেসের মতোই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ তসবির মালিকের খুনের তদন্ত এখানেই শেষ করে দেয়। এবং তাদের রিপোর্ট সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেয়। রাজ্য সরকার রিপোর্ট পায়। নিয়ম অনুযায়ী ফের সরকার, মৌহিনার নামে ১৫ লক্ষ টাকার চেক তৈরি করে। তারিকের মত ১৩ লক্ষ নয়। কারণ, তসবির ছিলেন মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের লোক।
এক বছরের মধ্যে দুজন স্বামীর মৃত্যু। এবং স্বামীর মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২৮ লক্ষ টাকা। ১৫ লক্ষ টাকার চেক তৈরিই ছিল। এক দু দিনের মধ্যে মৌহিনা সেটা পাওয়ার কথা। কিন্তু, মৌহিনার কাছে এসে পৌঁছনোর আগেই এমন কিছু ঘটনা ঘটে যে, পুরো কাহিনী ১৮০ ডিগ্রী মোড় নিয়ে নেয়।
শোপুর পুলিশ কোন চুরির মামলায় তদন্ত করছিল। তদন্ত চলাকালীন আচমকা দুজন লোক পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। ওই চুরির ঘটনায় দুজনের ভূমিকা ছিল। একজনের নাম ছিল চরণজিৎ সিং, অন্যজন আরিফ ভাট ওরফে মুস্তাফা। বহু চুরির ঘটনায় এরা জড়িত ছিল। কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় অনেকবার পুলিশ এদের পাকড়াও করেছে। চরণজিৎ সিং এবং মুস্তাফাকে শোপুর পুলিশ চুরির কেসে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পুলিশ তাদের লাঠির ওষুধ প্রয়োগ করলে তারা চুরির পাশাপাশি আরও অনেক কিছু স্বীকার করে নেয়।
জম্মু কাশ্মীর পুলিশ চমকে ওঠে। তারা বলে, চুরি ছাড়াও এই বছর ছয় মাসের মধ্যে তারা দুটো খুনও করেছে। কাশ্মীরে সাধারণভাবে খুনের ঘটনা খুবই কম ঘটে। কাউকে হত্যা করা হলে সেটা আতঙ্কবাদী হামলাতেই হয়। এমনি যেমন কলকাতা, মুম্বই, দিল্লিতে দুটো আন্ডারওয়ার্ল্ড গ্যাংয়ের লড়াই, প্রেম, সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে খুন হয়। কিন্তু কাশ্মীর উপত্যকায় এই বিষয়গুলো নেই বললেই চলে। কেননা প্রত্যেকটা হত্যা সাধারণভাবে আতঙ্কবাদের সঙ্গে যুক্ত থাকে। কিন্তু এই দুই চোর যখন বলে, তারা ছ’ মাসের মধ্যে দু”দুটো খুন করেছে , জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের চমকে ওঠা স্বাভাবিকই ছিল।
জিজ্ঞাসাবাদে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানতে চায়, যাদের তোমরা হত্যা করেছে তারা কারা ? চরণজিৎ ও মুস্তাফা বলে,তারিক আর তসবির মালিক। এক জন ইন্ডিয়ান আর্মিতে ছিল, অন্যজন মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের। দুজনেই সেনাকর্মী। পুলিশ জিজ্ঞেস করে, তোমরা তো স্থানীয়। আতঙ্কবাদী নও। তাহলে দুজন সেনা জওয়ানকে খুন করলে কেন ? জবাব আসে, আমরা সুপারি কিলার। ওই দুজনকে মারার জন্য আমাদের সুপারি দেওয়া হয়েছিল।
পুলিশ জানতে চায়, সুপারি কে দিয়েছিল? উত্তরে ওরা দুজনের নাম নেয়। যা জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ আধিকারিকদের বিশ্বাস হতে চায় না। এক নাম, আব্দুল রশিদ খান। দ্বিতীয় নাম ছিল, মৌহিনা। আব্দুল রশিদ খান ছিলেন মৌহিনার বাবা। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের বিশ্বাস না হলেও চরণজিৎ এবং মুস্তাফা বলে, তারিক এবং তসবির মালিককে একে ফরটিসেভেন থেকেই গুলি চালিয়ে তারা মেরেছে। মৌহিনা তাদের সত্তর হাজার টাকার সুপারি দিয়ে ছিল। ওই একে ফরটিসেভেন উদ্ধার করা হয়। একে ফরটিসেভেনের ফরেন্সিক তদন্ত হয়। ফরেনসিক রিপোর্টে বলা হয় চরণজিৎ এবং মুস্তাফার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ওই একে ফরটিসেভেন থেকেই তারিক এবং তসবির মালিককে গুলি চালানো হয়েছিল। বোঝা যায় দুই চোর মিথ্যে বলছে না। এরপর পুলিশ আব্দুল রশিদ খান এবং মৌহিনাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। দুজনেই ঘটনা অস্বীকার করে। পুলিশি কায়দায় জেরা শুরু হয়। ধীরে ধীরে সমস্ত কাহিনী সামনে আসে।
মৌহিনা ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় বেশ ভালো ছিল। তার বাবাও ছিলেন লেখাপড়া জানা মানুষ। আব্দুল রশিদ খান। মৌহিনা দেখতে ছিল খুবই সুন্দরী। ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল আর্মি অফিসারকে বিয়ে করবে। আব্দুল রশিদ খানের সরকারের সমস্ত পলিসি জানা ছিল। যে আর্মি অফিসারের মৃত্যু হলে, তাঁর বিধবা পত্নী মোটা টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাবেন। আসে সেটা কত টাকা হতে পারে। তখন তিনি একটা ষড়যন্ত্র করেন। কন্যাকেও ওই ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে নেন। স্থির করেন, মেয়ের বিয়ে কোন আর্মি বা পুলিশ অফিসারের সঙ্গে দেবেন। তারপর সুপারি দিয়ে জামাইকে খুন করাবেন। এবং সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করবেন। সেজন্য প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় করে বারবার মেয়ের বিয়ে দিতে থাকবেন। যখন আব্দুল রশিদ ও মৌহিনাকে পুলিশ গ্রেফতার করে, সেই সময় বিয়ের জন্য তারা তৃতীয় পাত্র আর্মি অফিসারকে দেখতে যাচ্ছিলেন। অর্থাৎ তৃতীয় বিয়ে হতো এবং তৃতীয় খুন। কিন্তু ওই দুই চোর, চুরির কেসে ধরা পড়েছিল তারা আচমকা মুখ খোলে, পুরো কাহিনী বলে। এবং তৃতীয় আর্মির জওয়ানের প্রাণ বাঁচায়।
ক্ষতিপূরণের ২৮ লক্ষ টাকা আব্দুল রশিদ এবং তার কন্যা প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন। ১৩ লক্ষ টাকা তো পেয়েছিলেনই। কিছুটা খরচও হয়ে গেছিল। বাকি ১৫ লক্ষ টাকার চেক তৈরি করে ফেলেছিল জম্মু-কাশ্মীর সরকার। সেটা মহিলার হাতে চলে যাচ্ছিল। কিন্তু তার আগে মৌহিনার আসল চেহারা বেরিয়ে পরে। তারা স্বীকার করে, লোভ, সরকারি পয়সার লোভের জন্যই বাপ-বেটি মিলে এই পরিকল্পনা করেছিল। তারিকের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ পাবার পর সেই লোভ আরও বেড়ে যায়।
কাশ্মীর সীমান্তে বা উপত্যকায় কোনও সেনা অফিসার বা কর্মী কর্তব্যরত অবস্থায় মারা গেলে, তাদের পরিবারের বাকি জীবনের কথা বিবেচনা করে এই ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছিল সরকার। যাতে আর্মি জওয়ানদের পরিবারগুলো ভেসে না যায়। তাই ক্ষতিপূরণের জন্য বাজেট তৈরি করা হয়েছিল। কে জানতো এই বাজেটের ওপর নজর রেখেছে একটি পরিবার। যাদের লক্ষ্য আর্মি কর্মীদের সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক তৈরি করা, এবং তাকে খুন করে জম্মু-কাশ্মীর সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা। এ কেমন একটা আশ্চর্যজনক কাহিনী।
পরে জানা যায়, মৌহিনা ও তার বাবা আব্দুল রশিদ খানের আস্থা অর্জন করেছিল চরণজিৎ এবং মুস্তাফা। আব্দুল তাদের বলেছিলেন, খুন করতে পারলে ক্ষতিপূরণের কিছু অংশ আমি তোমাদের দেব। কিন্তু সবটাই গোপন রাখতে হবে। কাউকে কিছু বলা যাবে না। প্রথম শিকার খুন হওয়ার পর তোমরা এলাকা থেকে উধাও হয়ে যাবে। দ্বিতীয় শিকার ধরলে আমি আবার তোমাদের খবর দেবো। কিন্তু ভাগ্য তাদের সুপ্রসন্ন ছিল না। চুরির কেসে চরণজিৎ এবং মুস্তাফা ধরা পড়ে যায়। এবং গোটা ঘটনা হরহর করে পুলিশের সামনে বমি করে দেয়। বাপ,-বেটি পাকড়াও হয়। এখন তারা জেলে।