বিশেষ প্রতিনিধি : লেখিকা সিপিএম দলের একসময়ের সর্বময় নেতা প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের কন্যা। তিনি অধ্যাপিকা। গবেষণার কাজও করেন । এই লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র দৈনিক “জাগো বাংলা”তে। “বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তি” শিরোনামে সম্পাদকীয় পাতায় ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি লেখা লিখেছেন অজন্তা বিশ্বাস। শনিবারই শেষ কিস্তি ছাপা হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে অনিলবাবুর মেয়ের লেখা নিয়ে তুমুল রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে। অজন্তা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা। তিনি কি তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন? রাজনৈতিক মহলে বারবার ঘুরেফিরে উঠে আসছে এই প্রশ্ন।
অজন্তা লিখেছেন, “রাজ্য রাজনীতিতে নারীশক্তি নিয়ে লিখতে বসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়া সে লেখা অসম্পূর্ণ। রাজ্যের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী তো বটেই বিরোধী নেত্রী হিসেবেও মমতা ইতিহাস গড়েছেন।”
তিনি লিখেছেন, “কঠিন লড়াইয়ে বারবার জয়ী হয়েছেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অগ্নিকন্যা, দিদি এবং ঘরের মেয়ে অভিধাও অর্জন করেছেন। কলকাতার হাজরা অঞ্চলের নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণকারী সাধারণ মেয়ে আজ টাইম ম্যাগাজিনে মনোনীত ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে অন্যতম হিসাবে।”
উপসংহারে অজন্তা লিখেছেন, “একজন রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে নজির গড়েছেন সমগ্র বিশ্বের সম্মুখে নিজের যোগ্যতায়। রাজনৈতিক ইতিহাসে বাঙালি নারী হিসাবে নিজেকেই অন্যতম সেরা প্রমাণিত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশস্ত করেছেন নারীদের জয়যাত্রা।”
তৃণমূলের বক্তব্য, “দলের কাগজে উনি একজন গবেষক হিসেবে একটা বিষয় নিয়ে কলম ধরেছেন। তার মানে এই নয় যে, তিনি তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন।
অজন্তা প্রেসিডেন্সি কলেজের লড়াকু এস এফ আই নেত্রী ছিলেন। পরেও কিছুদিন দলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। বাম জমানাতেই তিনি রবীন্দ্রভারতীতে চাকরি শুরু করেছিলেন। অনেকেই মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন , অনিলবাবু এই রাজ্যের শিক্ষা নীতি ঠিক করেছিলেন। তাঁর কথাতেই নাকি উপাচার্য, অধ্যাপক, হেড মাস্টার, শিক্ষক নিয়োগ করা হত।
রাজনৈতিক মহল একই সঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কন্যা সুচেতনার প্রসঙ্গ টেনে এনেছে। তিনিও সি পি এম দলের সঙ্গে নেই । বন্যপ্রাণী , বন সংরক্ষণ এই সব নিয়ে তিনি একটি এনজিও চালান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে নাকি ‘স্নেহ’ করেন বলে শোনা যায়। বুদ্ধদেববাবুর চিকিৎসার সব ব্যবস্থাও তিনি করে চলেছেন। একদা প্রতিদ্বন্দ্বীর এখন সব থেকে বড় বন্ধু তিনিই। অসুস্থতার কারণে বুদ্ধদেববাবু এখন রাজনীতি থেকে অনেক দূরে। সাম্প্রতিক ভোটে তিনি একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি ।
কারণ, তিনি ‘অসুস্থ’।